নাটোর হাসপাতালে রোগীদের চাপ, ঠাঁই নেই মেঝেতেও

প্রকাশ | ০৫ জুলাই ২০২১, ১৬:২৯ | আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২১, ১৬:৫৭

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনা রোগীদের চাপে ঠাঁই নেই নাটোর সদর হাসপাতালে। ৭০ শয্যার বিপরীতে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৯১ জন রোগী। শয্যা না পেয়ে করোনা ইউনিটের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। আর অক্সিজেনের প্রয়োজন হচ্ছে না এমন রোগীদের ভর্তিই করা হচ্ছে না।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালে কয়েক দিন ধরে করোনা রোগীর চাপ বাড়ছে। তবে শয্যা সংকটের কারণে সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা যাচ্ছে না। করোনার উপসর্গ নিয়ে এলে নমুনা নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন, এমন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালের নির্ধারিত ৭০টি শয্যা অনেক আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় নতুন রোগীদের হাসপাতালের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থাও নেই।

নাটোর সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ও সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. আনিছুজ্জামান পিয়াস বলেন, রোগীর চাপে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাছাড়া চিকিৎসা দিতে গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছে। রোগী এবং তাদের স্বজনদের ভিড়ে একাকার হয়ে যাচ্ছে। এতে সংক্রমণ আরও বেশি হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে ইতোমধ্যে তিনজন চিসিৎসকসহ ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

অন্যদিকে, করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলার সিংড়া, গুরুদাসপুর, বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে সেন্ট্রাল অক্সিজেনসহ চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে চিকিৎসা না নিয়ে সদর হাসপাতালে করোনা রোগীরা ভিড় করছে। এতে করে প্রতিদিনই রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। তবে ভর্তি রোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই গ্রামের।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ড. পরিতোষ কুমার রায় বলেন, ‘সর্বত্রই করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামে রোগীর সংখ্যা বেশি বাড়ছে। যেখান থেকেই আসুক তাকে আমরা জরুরি মনে করলে ভর্তি না নিয়ে পারছি না। পরিস্থিতি অনেকটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/পিএল)