গাইবান্ধায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনা রোগী

গাইবান্ধা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২১, ২১:৫০ | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৪

গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। চলতি মাসে সরকারিভাবে করোনা পরীক্ষায় দরিদ্রদের জন্য ফি মওকুফ করলেও এই হাসপাতালে পরীক্ষার নামে নেয়া হচ্ছে জনপ্রতি ১০০ করে টাকা।

এছাড়া করোনা পজেটিভ হয়ে করোনা ইউনিটে ভর্তি হতে না পেরে প্রকাশ্যে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন করোনা রোগী। এমন চিত্র গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালজুড়েই। এতে করে একদিকে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে, অন্যদিকে সাধারণ রোগীদের মধ্যে ভয়-আতঙ্ক বাড়ছে। সরেজমিনে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল ঘুরে এই চিত্র চোখে পড়েছে।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের এনামুল মিয়া নামে এক যুবকের করোনা পজিটিভ হয় রবিবার। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হতে এসে নানা বিড়ম্বনার শিকার হন। পরে করোনা ইউনিটে ভর্তি হতে না পেরে অবশেষে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। এনামুল দূরত্ব বজায় রেখে ঢাকাটাইমসের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলেন।

এনামুল মিয়া বলেন, ‘আমি করোনা পজিটিভ রোগী। আমাকে প্রথমে বলছে ইমার্জেন্সি সেবা নিতে। পরে সেখানে গেলে ১৭ নাম্বার রুমে যেতে বলে। পরে কাজ না হওয়ায় কন্ট্রোল রুমে যেতে বলে। সেখানে কাজ হয়নি। অবশেষে কোনো উপায় না পেয়ে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ঘোরাঘুরি করছি।’

করোনা পরীক্ষা করতে আসা রোগীদের অভিযোগ, সিভিল সার্জন অফিসের পশ্চিম পাশে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সামনের খোলা চত্বরে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের বুথটি স্থাপন করা হয়েছে। এখানে প্রতিদিন শত শত মানুষ রোদে পুড়ে করোনার পরীক্ষা করতে লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। এমনকি নেই কোনো চেয়ার-বেঞ্চ। ফলে সারাক্ষণই রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কোনো সেডও নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি করোনা নমুনা পরীক্ষার ফরম সংগ্রহ করে সেটি পূরণ করার মতো টেবিল-চেয়ারও রাখা হয়নি।

এছাড়াও রোগীদের অভিযোগে, করোনা পজেটিভ হলে দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিলেও করোনার রিপোর্ট পাওয়া যায় একদিন পরে। রোগীদের কাছ থেকে টেস্টের জন্য দুই দফা নমুনা নেয়া হয়। একটি হাসপাতালে তাৎক্ষণিক জরুরি পরীক্ষা করা হয়। আরেকটি নমুনা রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রংপুর থেকে রোগীদের মোবাইলে রিপোর্ট আসে একদিন পর। এদিকে করোনা পজেটিভ রোগীরা চিকিৎসার পরামর্শ পেতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন আখতারুজ্জামান ঢাকাটাইমসকে বলেন, সরকারি সার্কুলার বুঝতে কিছুটা ভুল হয়েছে। এখন থেকে দরিদ্রদের করোনা পরীক্ষায় টাকা নেয়া হবে না। পাশাপাশি রোগীদের বিড়ম্বনার বিষয়টি গুরুত্বসহ দেখা হচ্ছে। কোনো রোগী যেন বিড়ম্বনার শিকার না হয়, সবাই যাতে পর্যাপ্ত এবং ভালো সেবা পায়, আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।

তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল প্রাঙ্গণে করোনা রোগী ঘুরে বেড়ানোর বিষয়টি সঠিক নয়। এমন হয়ে থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :