দিনাজপুরে লকডাউন অমান্য করায় ৬৩৮ মামলা

দিনাজপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ জুলাই ২০২১, ২৩:২১

সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপী লকডাউনে ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় দিনাজপুরে ৬৩৮টি মামলায় প্রায় পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার পর্যন্ত এসব মামলায় দিনাজপুর জেলায় মোট ৬৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া একদিনে প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়নে দিনাজপুর জেলায় ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। এসব আদালতে বিচারক হিসেবে কাজ করছেন জেলার ১৩ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ পদস্থ কর্মকর্তারা। তাদের সহায়তা করেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসন প্রদত্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুলাই সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত জেলায় ১৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। বিধি নিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এসব আদালতে ৬৩৮টি মামলা করা হয়। এগুলোর মোট আসামি ৬৪০ জন। এর মধ্যে তিনজনকে কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং অন্যদের কাছ থেকে চার লাখ ৮৮ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ ছাড়া শুধু গত রবিবারই ১৫৭ জনের কাছ থেকে ১৫৭টি মামলায় মোট এক লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়াও সোমবার দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্তুজা আল মুঈদের নেতৃত্বে দিনাজপুর সদরসহ পৌর এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৩৬টি মামলায় ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে দিনাজপুরে করোনা সংক্রমণের হার বরাবরই বেশি ছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছে দিনাজপুর সদর উপজেলা। দিনাজপুর সদর উপজেলায় করোনার লাগাম টেনে ধরতে গত ১৫ জুন থেকে স্থানীয়ভাবে কঠোর বিধি নিষেধ জারি করা হয়। পরবর্তীতে ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী জারি করা বিধি নিষেধও একসঙ্গে চলমান রয়েছে। এ অবস্থায় মানুষকে ঘরবন্দি রাখতে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। বিশেষ করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্তুজা আল মুঈদ শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বারে স্থাপিত চেক পোস্টে কড়া নজরদারিসহ নানা পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ১৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে আড়াইশ জনের। মৃত্যুর হার সদর উপজেলাতেই বেশি।

(ঢাকাটাইমস/৫জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :