অ‍্যাপের মাধ্যমে বিনা প্রেসক্রিপশনে ওষুধ বিক্রি ভয়াবহ অপরাধ

আব্দুন নূর তুষার
| আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২১, ১২:৪৫ | প্রকাশিত : ০৬ জুলাই ২০২১, ১১:৩৯

একটি অ‍্যাপ ওষুধের সাথে ডাক্তারের ৩০ দিনের আনলিমিটেড কনসালটেশন বিক্রি করছে। বলছে ওষুধ কিনে তারপর ডাক্তারের সাথে কথা বলে খেতে। যত খুশি তত ডাক্তারের সাথে কথা বলা যাবে। যেন ডাক্তার পিজা হাটের আনলিমিটেড পিজা।

১. ওষুধের সাথে কনসালটেশন বিক্রি আনএথিকাল। কারণ এর মাধ‍্যমে সেল্ফ মেডিকেশনকে উৎসাহিত করা হয়।

২. মেট্রোনিডাজোল প্রেসক্রিপশন ছাড়া বেচা নিষিদ্ধ। তারা সেটা আগে বেচে দিয়ে সাথে কনসালটেশন বিক্রি করছে। এটা একটা অপরাধ। ধরা যাক ডাক্তার পরে বললো এটা না খেতে। তখন সে এই ওষুধ কোথায় ব‍্যবহার করবে?

৩. তারা অ‍্যাপে যাবতীয় ওষুধ বিনা প্রেসক্রিপশনে বিক্রি করছে। এটা অপরাধ।

৪. বাংলাদেশের আইনে একটি ডাক্তারি সেবার সাথে অন‍্য সেবাকে যুক্ত করা যায় না। এটা করলে আলাদা আলাদাভাবে সেবার মূল‍্য লিখতে হবে। নইলে এটা ফি শেয়ারিং বা ফি স্প্লিটিং হবে যা অপরাধ ও অনৈতিক।

৫. ওষুধ বেচার জন‍্য লাইসেন্স লাগে। ফার্মেসি লাইসেন্স। সেটা আছে কি না জানি না।

৬. তাদের অ‍্যাপে ইচ্ছামতো ঘুমের ওষুধ অর্ডার করা যায়। এক হাজার অর্ডার করার ছবি দিলাম। এটা ভয়াবহ অপরাধ। এরকম বহু বিপজ্জনক ওষুধ সেখানে অর্ডার করা যায়।

এই অ‍্যাপটার পেছনে একটি মহান টেলকো আছে। এর সাথে সরকারি প্রতিষ্ঠানও যোগ দিয়েছে নানা কর্মকান্ডে। আইইডিসিআর তার মধ‍্যে অন‍্যতম।

এরা আমাকেও সেধেছিল। বিজ্ঞাপনি সংস্থার মাধ‍্যমে। আমি বলেছিলাম আগে আমি এটা ঘেঁটে দেখব। টাকাও সেধেছিল। আমি রাজি হইনি। নানান কথা বলে সময় নিয়েছি।

সরকারি প্রতিষ্ঠানের আজদাহা কর্মকর্তারা কি কিছু দেখেন? নাকি ডিজিটাল হলেই লাফিয়ে পড়েন। এই রকম অ‍্যাপ চালু করার আগে এগুলো পরীক্ষা করে দেখে অনুমতি দেয় কারা? এরা কি বেঁচে আছে? এদের লেখাপড়ার কোনো মূল‍্য আছে?

ছি! এই রেগুলেটরদের কোনো শাস্তি এদেশে হবে না। তাই প্রার্থনা করি। এদের ওপর লানত বর্ষিত হোক। এরা ধ্বংসপ্রাপ্ত হোক।

লেখক: চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব

ঢাকাটাইমস/৬জুলাই/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :