স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন বাবুনগরী

প্রকাশ | ০৬ জুলাই ২০২১, ২০:১২ | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২১, ২০:১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলোচিত-সমালোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী গতকাল সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমন্ডির বাসায় গিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক শেষে বের হয়ে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের সামনে মুখ না খুললেও পরদিন তিনি জানালেন বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ব্যক্তিগত কোনো স্বার্থে নয়, জাতীয় স্বার্থে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের দাবি-দাওয়াগুলো মনোযোগ সহকারে শুনেছেন এবং সে বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানান হেফাজত আমির।

মঙ্গলবার রাজধানীর খিলগাঁও মাখজানুল উলুম মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বাবুনগরী গতকালের মিটিং প্রসঙ্গে কথা বলেন।

বাবুনগরী বলেন, ‘ব্যক্তিগত কোনো কারণে নয়, জাতীয় ও দ্বীনি স্বার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে গতকাল আমাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আলেম-উলামাদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেপ্তার-হয়রানি বন্ধ ও অতিসত্বর কওমি মাদ্রাসাগুলো খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছি।’

হেফাজত আমির বলেন, ‘সারাদেশে অসংখ্য নিরীহ আলেম-উলামাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বৈঠকে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছি।’

বাবুনগরী বলেন, ‘আমরা জানিয়েছি হেফাজতের বিরুদ্ধে কথিত যে সহিংসতার অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। হেফাজতের কোনো নেতাকর্মী সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল না। এসব সহিংসতার সাথে নিরীহ আলেম-উলামাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতের মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আওয়াল, প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী ও মাওলানা জহুরুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সোমরার রাত পৌনে ৯টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠক করেন বাবুনগরীসহ হেফাজত নেতারা।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় হেফাজতে ইসলাম গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংস তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ হেফাজতের নেতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। আলোচিত সংগঠনটির অর্ধশতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা হেফাজত আগের কমিটি ভেঙে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করে। তবে আমির ও মহাসচিব পদে আগের দুজন বহাল থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/০৬জুলাই/জেবি)