চাঁদপুরে চাঞ্চল্যকর জোড়াখুনের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ জুলাই ২০২১, ১৮:৩৬

চাঁদপুর জেলাধীন শাহরাস্তি পৌরসভার নাওড়া গ্রামে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পৌরসভার নাওড়া গ্রামের আহম্মদ উল্যাহ পাঠানের ছেলে সুজন পাঠান (৩৩) ও ঘুঘুশাল গ্রামের আবুল বাশার পাঠানের ছেলে শাহরিয়ার খোকন (৩৫)।

মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারে পর বুধবার কোর্ট হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে চাঁদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে তারা কিছুই বলতে রাজি হননি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- পৌরসভার নাওড়া গ্রামের আহম্মদ উল্যাহ পাঠানের ছেলে সুজন পাঠান (৩৩) ও ঘুঘুশাল গ্রামের আবুল বাশার পাঠানের ছেলে শাহরিয়ার খোকন (৩৫)।

গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) দুপুরে পুলিশ পৌরসভার নাওড়া গ্রামে নিজ বাড়ির ছাদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নুরুল আমিনের (৬৫) লাশ উদ্ধার করে। এসময় গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নিহতের স্ত্রী কামরুন নাহারকে (৬১)।

তিন দিন পর শনিবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান স্ত্রী কামরুন নাহার (৬১)। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার সন্ধ্যায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে স্বামীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার হলেও ঘটনাটি কখন ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। নিহত নুরুল আমিনের মাথায় আঘাত এবং গলায় মোজা প্যাঁচানো ছিল। ক্ষত জায়গায় পচন ধরেছে। বিষয়টি চুরি-ডাকাতি নাকি নাশকতা তা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ১৯৯৭ সালে উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রাম থেকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নাওড়া গ্রামে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করে আসছেন মৃত আ. মজিদের ছেলে নিহত নুরুল আমিন। তিনি ৫/৬ বছর আগে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় থেকে অবসর নেন। স্ত্রী কামরুন নাহার পাশের কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে অবসরজনিত ছুটিতে ছিলেন। নিহত দম্পতির এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তান রয়েছে।

ঘটনার দিন নিহত দম্পতির ছেলে মো. জাকারিয়া বাবু অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করে যাচ্ছে। ঘটনার দিন থেকেই থানা পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই, সিআইডি ও র‌্যাবের বেশ কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মামলার তদন্তের স্বার্থে তারা কিছুই প্রকাশ করতে রাজি হননি।

শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘বিষয়টি স্পর্শকাতর। মামলার তদন্তের স্বার্থে কিছুই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। শাহরাস্তি থানার পুলিশ ও বিভিন্ন সংস্থা এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’

(ঢাকাটাইমস/৭জুলাই/এসএ/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :