পরোটা না লুচি, সকালের নাস্তায় কোনটা খাবেন?

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৮ জুলাই ২০২১, ১৫:৫৪

নাস্তায় আমরা রুটি, পরোটা, লুচি, খিচুড়ি, খেয়ে অভ্যস্ত। অনেক বাড়িতে ভাত, নান, তেহারি, নেহারি ইত্যাদি খাবারও পরিবেশন করা হয়। তবে পরোটা-লুচি আমাদের বাঙালিদের প্রত্যেকের একটি প্রিয় খাবার। লুচি বা পুরি, দুটোই একই জিনিস। এটি তৈরি হয় ময়দা বা আটা তেল বা ঘি দিয়ে।

চিকিৎসকদের মতে, দিনের অন্য সময়ে লুচি খেলেও, ব্রেকফাস্টে কিন্তু একেবারেই নয়৷ আপনি যদি নিয়মিত পরোটা খেতে পছন্দ করেন তবে এতে কোনও ক্ষতি নেই। শুধু চেষ্টা করুন যে তেলের পরিমাণ কম যেন হয়। তবে পরোটা বা লুচি খেলে শরীরচর্চাটাও দরকার বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

পরোটাকে ইংরেজিতে ফ্ল্যাট রুটিও বলা হয়। কেবল ভারতে নয় অন্যান্য দেশেও এর চল রয়েছে। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং মরিশাসের লোকেরা এটিকে ফারোট হিসাবে জানেন। যেখানে বার্মায় এটি পাল্টা নামে পরিচিত। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালেও এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

আবার লুচি বা পুরি, দুটাই একই জিনিস। এটি তৈরি হয় ময়দা বা আটা তেল বা ঘি দিয়ে। পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশে আমরা একে সাধারণত লুচি বলি।

ভারতবর্ষের আর যেকোনো জায়গায় এটিকে পুরি বলা হয়। ভারত ছাড়াও এটি বাংলাদেশ, নেপাল, বার্মা, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়ায় খুব বিখ্যাত। অবশ্যই এটি তেলে পুরোপুরি ভাজা হয় না এটি হালকা খাবার হিসাবে বিবেচিত হয়। সাধারণত লোকেরা ব্রেকফাস্ট বা রাতের খাবারের জন্য এটি তরকারি বা ভাজি দিয়ে খেতে পছন্দ করে।

পরোটা ও পুরি দুটাই তেল ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। পরোটা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে আলু, ফুলকপি, পনির, মেথি, পেঁয়াজ পরোটা পাওয়া যায়। অন্যদিকে, মেথি পুরি, মিসি পুরি, মাতার পুরী অনেক জায়গায় বিখ্যাত।

লুচিতে তেল সাধারণত উচ্চ তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হয়, যার ফলে এটি শরীরের জন্য খারাপ। অন্যদিকে কম তেলে পরোটা তৈরি হয় যা বেশি পুষ্টিকর।

খাবারের দোকানগুলোতে, বাসি তেলে লুচি ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আপনার হার্টের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। আমরা প্রায়শই বাড়িতেও একই ভুল করি। যেখানে পরোটা তৈরি করতে সবসময় তাজা তেল ব্যবহার করা হয়।

অনেকে নন-স্টিক প্যানে পরোটা তৈরি করেন যা বেশি ভালো। কারণ আপনি মাত্র এক চামচ তেল দিয়েই তৈরি করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে লুচিতে এই বিকল্পটি করা যাবে না। পরোটা তৈরি হয় পুরো শস্য বা হোল গ্রেন নামে পরিচিত গম থেকে। গমে কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবার রয়েছে। সাথে তেল বা ঘি যা পুষ্টির চাহিদা মেটায়। যা শরীরের ক্ষুধা কমায়। ওজন কমাতে সাহায্য করে। মধ্যস্ততাই সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি অর্থাৎ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া সুস্থ্যতার চাবিকাঠি। যা কিছু খাবেন পরিমাণমতো খাবেন। আপনার শরীরের অবস্থা বুঝে খাবেন। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আপনি যদি কোনো জটিল রোগে আক্রান্ত হন বা নিয়মিত কোনো ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না।

(ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :