আদালত সীমিত খোলা রাখা রাষ্ট্রের জন্য আর্থিক ক্ষতি

প্রশান্ত কুমার কর্মকার
| আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৫০ | প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৭

আইন পেশার উর্পাজনে একজন আইনজীবীর উপর নির্ভরশীল তাঁর জুনিয়র আইনজীবী ও ক্লার্ক বা মুহুরীর পরিবার-পরিজন। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ ১৫ মাসেরও অধিক সময় ধরে আদালত সীমিত আকারে চলছে। আইনজীবীদের আয় নেই, প্রতিদিনের ব্যয় কিন্তু কমেনি। আইনজীবীরা কর্মহীন জীবন-যাপন করছেন। নবীন আইনজীবীদের অবস্থা আরও ভয়াবহ।

কোর্ট সীমিত পরিসরে খোলা থাকায় যে শুধু আইনজীবীরা কষ্ট আছেন, তা কিন্তু নয়। এই পেশার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকেই কষ্টে আছেন। তাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমিত পরিসরে হলেও ভার্চুয়াল এবং শারীরিক উপস্থিতি উভয় আঙ্গিকে আদালত খোলা চান আইনজীবীরা। আইনজীবীরা স্বাধীন হলেও প্রত্যেক আইনজীবীই তাঁর মক্কেলের কাছে দায়বদ্ধ।

এই করোনাকালে আইনজীবীরে মক্কেলের শত সমস্যার কথা শুনতে হয়। কিন্তু আদালত সীমিত পরিসরে খোলা থাকায় সঠিক পরামর্শ দিতে পারছেন না। আদালত খোলা থাকলে, আইনজীবীরা আইনগত কার্যক্রম এগিয়ে রাখতে পারেন। মোটা দাগে বলতে গেলে মক্কেলের টাকায় আইনজীবীর সংসার চলে।

এই টাকার একটি অংশ বা রাজস্ব রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা হয়। বাজেটের বিরাট অংশের যোগনদাতা আইনপেশা। তাই আদালত বন্ধ রাখা রাষ্ট্রের জন্যও আর্থিক ক্ষতি।

লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

ঢাকাটাইমস/৯জুলাই/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :