৩০ মণ ওজনের ভাগ্যরাজের দাম ১৮ লাখ টাকা
শরীয়তপুর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত এ বছর সবচেয়ে বড় গরুটির নাম ভাগ্যরাজ। জাজিরা উপজেলার পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের পৈলান মোল্যার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা আবুল কালাম মাদবর ও তার স্ত্রী নাসিমা বেগম তাদের নিজ খামারে গরুটি পালন করেছেন। গরু বিক্রি করে নিজেদের ভাগ্য ফেরাতে শখ করে গরুটির নাম রেখেছেন ভাগ্যরাজ। আনুমানিক ৩০ মণ ওজনের এ গরুটি অষ্ট্রেলিয়ার ফিজিয়ান প্রজাতির।
আবুল কালাম মাদবর জানান, তিনি ১৬ বছর ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরবে প্রবাসজীবন কাটিয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি। ২০১৪ সালে দেশে ফিরে কৃষি কাজের সঙ্গে গরুর খামার শুরু করেন। গত বছর তার খামারে ১৬টি গরু ছিল। এ বছর খামারে চারটি গাভী ও চারটি ষাড় রয়েছে। এদের মধ্যে বিশেষ যত্নের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন ভাগ্যরাজকে।
সাড়ে তিন বছর যাবৎ তিনি ভাগ্যরাজকে লালন-পালন করছেন। সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি তিনি খরচ করেছেন ভাগ্যরাজের পেছনে। বর্তমানে এর উচ্চতা প্রায় ছয় ফুট ও দৈর্ঘ্য ১০ ফুট। এবারের কোরবানিতে ভাগ্যরাজকে ঢাকা-গাবতলী পশুহাটে বিক্রি করতে নেয়ার কথাও জানান খামার মালিক কালাম মাদবর।
কালামের স্ত্রী নাসিমা বলেন, ভাগ্যরাজ তাদের অত্যন্ত শখের একটি পশু। নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করেছেন ভাগ্যরাজকে। গত বছর কোরবানির আগে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা দাম বলেছিল ক্রেতারা। কিন্তু বিক্রি করেননি। নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পালন করেছেন আরও এক বছর। এ বছর ১৮ লাখ টাকা দাম চাইছেন। ন্যায্য মূল্য পেলে বিক্রি করে দেবেন।
তিনি বলেন, আমরা শত কষ্টের মাঝেও গরুটির প্রতি কোনো অবহেলা করিনি। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এই গরুটিকে লালন পালন করেছি। জাজিরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক আতিকুর রহমান নিয়মিত ভাগ্যরাজকে দেখাশুনা করেছেন।
(ঢাকাটাইমস/০৯জুলাই/এসএ/কেএম)