রূপগঞ্জে আগুন: কিশোরগঞ্জের একই পরিবারের ৬ জন নিখোঁজ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যে কারখানাটিতে আগুনে অসংখ্য মানুষের প্রাণ গেছে, সেই ভবনে কাজ করা কিশোরগঞ্জের একই পরিবারের ছয়জনের এখনো খোঁজ মিলছে না। এছাড়া একই জেলার আরও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন, যারা ওই ভবনে কাজ করতেন। তবে আগুন লাগার পর ভবন থেকে লাফ দিয়ে বেঁচে গেছেন এক নারীসহ দুইজন।
গত বৃহস্পতিবার বিকালে রূপগঞ্জের ভুলতার কর্ণগোপ এলাকায় হাশেম ফুড বেভারেজ কোম্পানির কার্টন কারখানায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। আগুনে বৃহস্পতিবার দুজনের মৃত্যু হয়। একজনের মৃত্যু হয় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে। শুক্রবার উদ্ধার হওয়া ৪৯ জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে।
আগুন লাগার পর তিন তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে কেউ প্রাণে রক্ষা পেলেও চতুর্থ তলায় তালা দিয়ে রাখার কারণে অন্যরা বাঁচতে পারেনি। চারতলার সিঁড়ির মুখ থেকে ৪০টির বেশি মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজের তালিকায় একই পরিবারের ছয়জনসহ কিশোরগঞ্জের ১৪ নারী-পুরুষ আছেন। তাদের পরিণতি কী হয়ে কেউ বলতে পারছেন না।
নিখোঁজ শ্রমিকের তালিকায় রয়েছে- কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার দানাপাটুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিয়ান্দা গ্রামের নাজমুল ইসলাম, কটিয়াদী উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের তাসলিমা ও রাবেয়াসহ চার নারী এবং একই ইউনিয়নের শিমুলতলা গ্রামের আরও দুই নারী-পুরুষ।
এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের একই পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ আছেন। তারা হলেন শায়েলা, রেহানা, জাহানারা, হাকিমা, মাহমুদা ও অহাদ এবং একই ইউনিয়নের মতুরাপাড়া বিলপাড় গ্রামের জাহানারা বেগম।
রূপগঞ্জে কারখানায় আগুন লাগার পর করিমগঞ্জের যে পরিবারের ছয়জন নিখোঁজ রয়েছেন সেই পরিবারের অভিভাবক সলেম উদ্দিনের জানান, আগুন লাগার পর তার ছেলের বউ, মেয়ে ও নাতিসহ ছয়জনের খোঁজ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তারা সবাই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন তিনি। তাদের সবাই যেন বেঁচে ফেরেন সেই আশায় আছেন বাড়ির সবাই।
ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/এমআর