কবিতা

অব্যর্থ নিদানের সন্ধানে

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া
 | প্রকাশিত : ১০ জুলাই ২০২১, ১০:৪২

কুরুক্ষেত্রে যতো মানুষের হলো প্রাণ বলিদান,

একটি ক্ষুদ্র জীবাণু কেড়েছে তারো চেয়ে বেশি প্রাণ।

এক জীবাণুই কেড়েছে মানুষের দু’কুড়ি লক্ষ প্রাণ,

এখনো মানুষ হাতড়ে বেড়ায় কোথা তার সমাধান!

কতো স্বজনের জীবন কেড়েছে জীবাণু রাহুর গ্রাস,

আমার এখনো বিত্তের নেশা; না পাবার হা-হুতাশ।

কোন মোহে মন এখনো ঘুরছে বেসাতের ঘোর বয়ে,

অচিরে আমারও পাড়ি দিতে হবে পরপারে যমালয়ে।

স্বজন হারানো শোকের মাতমে বাতাস হয়েছে ভারি,

দিশা খুঁজে মরি আমি দিশাহীন নি:সঙ্গ পথচারী।

প্রতিরোধী কোনো নিদানই যেনো হলো না যে টেকসই,

গবেষণা আর আলোচনা যেনো কেবলি কথার খৈ।

মানুষের এমন সকরুণ দশা আগেতো দেখেনি কেউ,

রূপ বদলানো জীবাণু সাগরে নতুন বিনাশী ঢেউ।

এক ঢেউ যেই সামলাতে যাই তখনি আরেক রূপ,

উৎকন্ঠিত বিশ্বটা যোনো ভূতুরে মৃত্যুকূপ।

দিশাহারা হয়ে ছুটছে জীবন; জানেনা কোথায় যাবে,

কোন মুলুকের কোন কুঠরিতে স্বস্তির দিশা পাবে!

মানুষের সব জ্ঞানের পরিধি খাটো হয়ে দিনে দিনে,

চোখ ফিরালো সে অণুবীক্ষণে; নেই চোখ দূরবীণে।

তবু জীবাণুকে পরাস্ত করার অব্যর্থ প্রতিকার,

মহাকাশজয়ী মানুষ পারেনি করতে আবিষ্কার।

অসহায় হয়ে জীবাণুর হাতে সঁপে দিয়ে সব প্রাণ,

কিছুটা সফল করেছে মানুষ তার অনুসন্ধান।

আশায় আশায় বুক বেঁধে মানুষ জীবন চালিয়ে যায়,

একদিন তার মুঠোয় আসবে অব্যর্থ সে-উপায়।

জমিনে যদিবা না থাকে নিদান;

খোঁজে সমাধান আসমানে,

কাল ক্ষেপন আর করোনা মানুষ

কোনো বৃথা অনুসন্ধানে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :