আলফাডাঙ্গায় দুই বছরেও শেষ হয়নি রাস্তাটির কার্পেটিং

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০২১, ২২:১৭

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি রাস্তা কার্পেটিংয়ের কাজ দীর্ঘ দুই বছর অতিবাহিত হলেও শেষ করতে পারেনি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এদিকে দুই বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চাপুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ওই এলাকার খালেক ফকিরের বাড়ি পর্যন্ত ৬৬৮ মিটারের একটি রাস্তা পাকাকরণের জন্য কোনো রকমে রোলার করে রাখা হয়েছে। রোলার করে রাখা ইট-পাথরের ছোট-বড় খোয়া উঠে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়ত বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, অটোভ্যান ও ভারী যানবাহনের টায়ার নষ্ট হচ্ছে। কুচরি ইট-পাথরের ওপর ব্রেক করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই বছর আগে দরপত্রের মাধ্যমে ফরিদপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্রত্যাশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বরকত রাস্তাটির কার্পেটিং কাজ সম্পাদন করার চুক্তিবদ্ধ হন। এরপর ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল সড়কটির পাকাকরণের কাজ শুরু হয়।

চুক্তির শর্তানুযায়ী, ২০১৯ সালের আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৬০ শতাংশ কাজ করার পর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন বরকত বিভিন্ন অপরাধ-অপকর্মের কারণে গ্রেপ্তার হন।

এরপর ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বারবার তাগিদ দেয়া হয়। পরে সাড়া না পেয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এ কাজের কার্যাদেশ বাতিল করেন। এরপর থেকে নতুনভাবে কোনো দরপত্র আহ্বান করেনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরটি।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ইরান মোল্যা নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এ রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের লোকজন চলাচল করে। রাস্তায় নামমাত্র কংক্রিট দেয়া হলেও গাড়ি চলাচলের কারণে কংক্রিটগুলো গুঁড়া হয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। দুই বছর হলেও কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে যায়। বয়স্ক লোকজন ও রোগীদের চলাচল করতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।’

আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম বলেন, ‘রাস্তাটি আমাদের এলজিইডির আওতাধীন একটি নির্মাণাধীন রাস্তা। কিন্তু রাস্তাটির ঠিকাদার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বন্দি থাকার কারণে তার সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করে দিয়েছি। বর্তমানে একজন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে রাস্তাটি আবার রি-মেজারমেন্ট করে নতুন ঠিকাদার নির্বাচন করা হবে। ঈদের পরে কার্যক্রমগুলো শেষ করে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাস্তাটির কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :