ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চান আরিয়ান

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৩ | প্রকাশিত : ১৪ জুলাই ২০২১, ১৩:৩৮

আরিয়ান আহমেদ। মাত্র ২২ বছর বয়সেই সফল একজন ডিজিটাল মার্কেটার এবং মিউজিশিয়ান আর্টিস্ট! তিনি শৈশব থেকেই নতুনত্ব নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও গবেষণা নিয়ে মগ্ন থাকতে ভালোবাসতেন। ৩ মার্চ ১৯৯৮ সালে লক্ষ্মীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি!

কঠিন পরিশ্রমের কারণে সফলতার দ্বারপ্রান্তে তিনি। আজ তিনি সফল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম ডিজিটাল মার্কেটার হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন। আজ তার উদ্যোগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে একটি দুর্দান্ত স্থানে অবস্থান করছে। তিনি শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে নয়, একজন সফল ব্লগার এবং ভার্চুয়াল উদ্যোক্তা। তিনি তার অসীম চেষ্টায় সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছেন।

আরিয়ান আহমেদ অল্প বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ শুরু করেন। ‘মিস্টার কিং টিম’ নামে নিজের একটি টিম দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। মূলত সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তায় কাজ করেছিল টিমটি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং করেন তারা।

ডিজিটাল চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্যের প্রমোশন করাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন, ইনফ্লুয়েন্সার্ মার্কেটিং- এসবই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন এই তরুণ। ‘আমরা জানি দিন দিন মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব বাড়ছে। তাই তরুণদের এই ক্ষেত্রে কাজ করার ওপর জোর দিতে হবে, বলেন আরিয়ান আহমেদ।

তিনি বলেন, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এই সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অজ্ঞতা নিয়ে বারবার শুধু অসফলতার দিকেই আসতে হয়। এর জন্য সবার প্রথমে দক্ষতা বাড়াতে হবে।

এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলস-এর ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে লাখো মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান আরিয়ান আহমেদ ।

আবার অনেকেই ভালো কনটেন্ট তৈরি করেও ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাদের জন্য সবসময় কিছু একটা করার স্বপ্ন দেখেন আরিয়ান। নিজের ক্যারিয়ারের শুরুতে পার করেছেন অনেক ধরনের বাধা বিপত্তি। তাই ডিজিটাল দুনিয়ার কাজ করতে আসা তরুণরা যেন বাধার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আরিয়ান চেষ্টা করে যাচ্ছেন নিজ জায়গা থেকে।

এটি বর্তমান তরুণদের জন্য অনেক বড় একটা সমর্থন পাওয়া যাবে বলে অনেকেই আশা করেন। এছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তিনি সামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়া তিনি ব্লগিং করেন। আরিয়ান বিশ্বাস করেন যে, পজিটিভিটি ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে সমাজকে পরিবর্তন করা সম্ভব। তিনি বুঝিয়েছেন যে, সত্য ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে এই সমাজে মিথ্যাকে ঢেকে দেয়া সম্ভব।

একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আরিয়ান বিশ্বাস করেন, সফলতার কোনো শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে ওঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সত্যতা নেই, সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান পাওয়া যায় না, প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত। পরিশ্রম মানুষকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যায়। সততাকে সঠিক রেখে ধৈর্যকে পাশে রেখে পরিশ্রম করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া একান্ত কাম্য।

সবার উদ্দেশ্যে আরিয়ান বলেন, নিজের ইচ্ছার বাইরে কোনো কাজ করতে যেও না, এতে তোমার ব্যর্থতা আসার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তুমি তোমার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশ্রমকে ছোট করে লক্ষ্যকে বড় করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে নিজেকে আবিষ্কার করো। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত কর সবার মাঝে। কঠোর পরিশ্রম সফলতার চাবিকাঠি।

আরিয়ানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, এগোতে হবে বহুদূর। তিনি বুঝিয়েছেন যে, আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন, সকলেরই একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু পরিকল্পনা করলেই হবে না, পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। ততক্ষণ পর্যন্তই থামবো না, যতক্ষণ না আমি আমার সফলতার চূড়ায় না পৌঁছাই।

ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :