ভাঙন এলাকায় বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে তিন গ্রাম
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত ক্যানাল ঘাট এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ঝুঁকিতে রয়েছে তিন গ্রামের দুইটি রাস্তাসহ নদী পাড়ের বহু ঘরবাড়ি। স্থানীয়রা এ বিষয়ে প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করছেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দৌলতদিয়া ক্যানাল ঘাট এলাকায় কিছুদিন ধরে স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন, লোকমান হোসেন ও মুক্তার শেখ তিনটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করছেন। এতে স্থানীয় ইদ্রিস শেখের পাড়া ও নুরু মণ্ডল পাড়ার নদী পাড়ের অর্ধশত পরিবার ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া মহাসড়ক হতে দেবগ্রামগামী এবং দৌলতদিয়া ১ নম্বর বেপারী পাড়াগামী দুটি রাস্তা।
ক্যানালের মাত্র কয়েকশ মিটার দূরের প্রবহমাণ পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা এসব এলাকার মানুষ। ইতোমধ্যে অনেক পরিবার ভাঙন এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে শুরু করেছে।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষক জুয়েল গায়েন, কৃষক সামাদ গায়েন, খলিলুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, ড্রেজার মালিকরা তাদের জমি হতে বালু তুলছেন। আমরা নিষেধ করলেও কর্ণপাত করছে না। অথচ এখান থেকে বালু উত্তোলন করাতে অনেক বাড়িঘর ও কাঁচা রাস্তা বিলীনের ঝুঁকি রয়েছে। সামান্য দূরেই মূল পদ্মা নদীতে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন।
অন্যদিকে স্কুল শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন, সোহাগ মিয়া, সোহেল রানা, মন্জুসহ কয়েকজন জানায়, তারা শুষ্ক মৌসুমে ক্যানালের প্রশস্ত বুকে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলে। কিন্তু এভাবে ড্রেজার দিয়ে খনন করার ফলে তাদের আর খেলাধুলার সুযোগ থাকবে না।
তবে ড্রেজার মালিক আফজাল হোসেন দাবি করেন, তিনি একটা ভূমিহীন পরিবারের বাড়ি করার জন্য কিছু বালি তুলছেন। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি আছে। জমির মালিকদেরও কোনো আপত্তি নেই।
এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কাউকেই বালু উত্তোলনের অনুমতি দেইনি। ওরা জনগণকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলে থাকে। ক্যানাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জমির মালিকরা আমার কাছে অভিযোগ করেছেন। শিগগিরি সেখানে অভিযান চালানো হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/পিএল)