বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সেই নারীর মৃত্যু

বড়লেখা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০২১, ১৭:৫৯

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ রহিমা বেগম (২০) নামে সেই নারী মারা গেছেন। বুধবার রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রহিমা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে। আগুনে রহিমার শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে দীর্ঘদিন থেকে রহিমা তার বাবার বাড়িতে ছিলেন৷ সন্তানকে দেখতে প্রায়ই শ্বশুরবাড়িতে যেতেন তার স্বামী শিপন আহমদ। একইভাবে গত ৩ জুলাই সকালে শিপন আহমদ সন্তানকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি যান। এদিন ভোরে শিপন আহমদ পেট্রোল দিয়ে রহিমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। রহিমার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা রুমে গেলে শিপন পালিয়ে যায়৷ পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় সেখান থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়৷ পরে সেখান থেকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফের রহিমাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ দিন পর তার মৃত্যু হয়।

রহিমার ভাই রাজু আহমদ বলেন, ‘আমার বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। শতচেষ্টা করেও বোনকে বাঁচানো গেল না। আমরা বোনের ঘাতকের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত শিপন ও তার মা আনুরি বেগমকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে ও তার মাকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে ও তার মা আনুরি বেগম কারাগারে আছেন। শিপন আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে এবং পেশায় মোটরসাইকেল ইঞ্জিনিয়ার।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :