নেয়ামত ভূঁইয়া’র অণুকাব্য

প্রকাশ | ১৫ জুলাই ২০২১, ১৮:৫৮

ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া

  ১. অসার বাহাদুরি
কিসে তোমার অতো ঘোর বাহাদুরি
কিসে তোমার অতো অহংকার,
শেষ দমটার খেল খতমের
 খকেই শূন্য অন্ত:সার।

   ২. পলকেই সাঙ্গ
রেসকোর্সের মাঝপথে যেদিন
এক পলকেই সাঙ্গ হবে
টগবগানো ঘোড়সওয়ার,
দেখবে সেদিন বাজিকর আর
বাহবা দেবার
সঙ্গি সাথিরা পগার পার।

  ৩. সময়ের সাক্ষ্য
দুষ্কর্মের প্রতি তোমার এখন
থাকুক যতোই পক্ষপাত,
সময়ের ফেরে সাক্ষ্য দেবে
মুক্তবাক আর লক্ষ হাত।

  ৪. নিবেদন
ওহে বিশ্বমানবতা!
একবার হৃদয়ের কান পেতে শোনো
যুদ্ধাহত মানুষের আর্তি আহাজারি,
অন্তত: একবার
আকাশ কাঁপিয়ে সমস্বরে বলো,
মানুষের প্রাণ নিধন
সভ্যতার অসভ্য বাহাদুরি।

   ৫. প্রার্থনা
পৃথিবী যদিও নশ্বর,
তবুতো এখানে যত্নে গড়েছি মমতার খেলাঘর।
আমি না থাকলে আর কার কাছে
আশিস বিলাবে ঈশ্বর!
সৃষ্টিকে ঘিরেই স্রষ্টার লীলা থাকে চির ভাস্বর।
মানুষ যেনো ব্যাধি রাহুগ্রাসে অকালে প্রাণ না হারায়,
মানুষকে তুমি রেখো নিরাপদ অশেষ করুণা ধারায়!

  ৬. অমর্যাদাকর সন্ধি
জীবন বাঁচাতে জীবনকে নিয়ে
কোথায় লুকাবে আর?
জীবন এবং মৃত্যু হয়েছে
যাপিত জীবনে একাকার।
মৃত্যু-শেকলে জীবনের গতি
আঁধার গারদে বন্দি,
সময়ের সাথে জীবনের এখন
মর্যাদাহীন সন্ধি।

   ৭. খোঁজে সমাধান আসমানে

এক জীবাণুই কেড়েছে মানুষের দু’কুড়ি লক্ষ প্রাণ,
এখনো মানুষ হাতড়ে বেড়ায় কোথা তার সমাধান!
জমিনে যদিবা না থাকে নিদান,
খোঁজে সমাধান আসমানে,
কাল ক্ষেপন আর করোনা মানুষ
কোনো বৃথা অনুসন্ধানে।

   ৮. জীবন তরী
অশ্রু প্লাবনে ভাসছে এখন
জীবনের টলোমলো তরী,
স্তব্দ হয়ে দেখছে শোকের মিছিল
সময়ের শোকার্ত ঘড়ি।

  ৯. জীবনের মর্সিয়া
জীবনের কল-কলরব নেই
পাখিদের ঠোঁটে ঠোঁটে,
বিলাপ মাতমের মর্সিয়া এখন
পাখির গানেও ফোটে।