কুষ্টিয়ায় মেয়ে হত্যার বিচার চান বাবা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০২১, ১৯:২৬

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুষ্টিয়ায় নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমা (১৪) হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত ফাতেমার পরিবার। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মিরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত ফাতেমার পিতা সাইফুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দ্রুত মামলার প্রধান আসামি আপন (১৮)-কে গ্রেপ্তার করায় আমরা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তবে আমাদের ধারণা, যে নৃশংশভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে- তা একজন মানুষের একার পক্ষে সম্ভব না। এছাড়া পুলিশের দেওয়া ঘটনার বিবরণেও আমাদের আপত্তি রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেমঘটিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ওই খুনির পরিবারের  সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিল না।

তিনি আরো বলেন, আমার মনে হয়- পুলিশ কোন অদৃশ্য কারণে এই মামলার মূল ঘটনাকে আড়াল করছে। এজন্য আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি- যাতে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মেয়ের চাচা খন্দকার সোহেল রানা, খন্দকার মাহাফুজুর রহমান, মামা মতিয়ার হোসেন রাজু, দাদা মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৪ জুলাই) কুষ্টিয়ার  মিরপুর উপজেলার কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা এলাকায় একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রী উম্মে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই রাতে পুলিশ মিরপুর পৌরসভার কুরিপোল মধ্যপাড়া মহল্লার রংমিস্ত্রি মিলনের ছেলে ও আমলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আপন নামে এক কলেজছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। পরে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন, মূলত বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় প্রেমিকা কিশোরীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চাকু এবং গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়।

এদিকে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সুতাপ রায় জানান, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি তার শরীর পোড়ানোও হয়েছে। গলায় রশি প্যাঁচানো ছিল। কিশোরীকে ধর্ষণও করা হয়ে থাকতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এলএ)