শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় নেই
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদে ঘরে ফেরা যাত্রীদের তেমন একটা ভিড় নেই। রবিবার সকালে লঞ্চ ও ফেরি ঘাট ঘুরে যাত্রীদের ভিড় দেখা যায়নি। এই ঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১১টি জেলার মানুষ ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে।
বর্তমানে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মাদারীপুরের বাংলা বাজার নৌরুটে শতাধিক লঞ্চ ও ১০টিরও বেশি ফেরি চলাচল করছে। রয়েছে স্পিডবোটও।
ভরা বর্ষায় পদ্মা নদীতে পানি ও স্রোত বাড়ায় চ্যানেলটি পার হতে আগের চেয়ে দেড়গুণ বেশি সময় লাগছে।
ঢাকা থেকে মাদারীপুরগামী সোনালি পরিবহনের যাত্রী ইসহাক বলেন, ভিড় এড়াতে ঈদের কয়েকদিন আগেই বাড়ি যাচ্ছি। ভেবেছিলাম, বাস কিংবা লঞ্চে প্রচণ্ড ভিড় হবে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখলাম পরিস্থিতি স্বাভাবিক।
একই কথা বললেন একই রুটের সার্বিক পরিবহনের যাত্রী বিজয়। লঞ্চ পারাপারের এই যাত্রী বলেন, প্রতিবছর ঈদের আগে এই সময়ে ঘরে ফেরা যাত্রীদের ভিড় থাকে। কিন্তু এবারের দৃশ্যটা আলাদা। ঈদের পর লক ডাউনে আটকে পড়ার আশঙ্কায় এবার বাড়ি ফেরার মিছিল খানিকটা ছোট।
শিমুলিয়া ঘাটের বিভিন্ন ইয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষমাণ ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা নেই বললেই চলে। ঘাটে আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফেরিতে পদ্মা পার হওয়ার সুযোগ মিলছে। অন্যদিকে পরিবহনগুলোকে ফেরিতে পার হওয়ার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হলেও সময়টা দীর্ঘ নয়। লঞ্চ পারাপারের যাত্রীরা নির্বিঘ্নে লঞ্চে চড়ে নদী পার হচ্ছেন।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন পরিবহনের মালিক, চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এখনো ঈদের ছুটি শুরু না হওয়ায় এই রুটে বাড়ি ফেরা যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম। যদিও তাদের অনুমান এবার ঈদে আগের বছরের তুলনায় কম সংখ্যক মানুষ ঢাকা ছাড়বেন। কেননা, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধের জন্য ঈদের তৃতীয় দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই সময়ে জরুরি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা এবং তৈরি পোশাক কারখানাও বন্ধ থাকবে।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এজেড)