আইজিপির ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০২১, ১৫:১৬ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১, ২০:৪৭

সিরাজুম সালেকীন, ঢাকাটাইমস

এ যেন জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় জেগে ওঠা। একসময় যে হাসপাতালটি নিজ বাহিনীর সদস্যদের আস্থা পেতে সংশয় ছিল, মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে সেটি সবার ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে। মন্ত্রী-এমপি, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও করোনা আক্রান্ত হলে ছুটছেন রাজধানীর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে (সিপিএইচ)। হতশ্রী থেকে এখন আত্মবিশ্বাসে ঝলমল চিকিৎসাকেন্দ্র এটি।

দেশে চলমান করোনা মহামারিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে পুলিশ বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন, লকডাউনে অসহায় মানুষের কাছে ছুটে যাওয়া, খাদ্য সহায়তা, করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়াসহ নানাভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বাহিনীটি। এ যেন দেশে অন্য এক পুলিশের আগমন।

করোনা সংক্রমণ রোধে সামনের সারিতে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এরই মধ্যে পুলিশের ১০২ জন সদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন বহু সদস্য। সংক্রমিতদের পরম মমতায় সেবা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল। সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তারা।

যেটি ছিল শুধু পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার কেন্দ্র, সেটি এখন আর শুধু পুলিশের নেই। সাধারণ মানুষসহ রাজনীতিক, আমলা, রাষ্ট্রের অন্যান্য ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা করোনা চিকিৎসা নিচ্ছেন এখানে। সুস্থ হয়ে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন এর চিকিৎসা, আন্তরিক সেবাসহ সামগ্রিক পরিবেশের।

পিছিয়ে থাকা একটি হাসপাতালের এভাবে সামনে এগিয়ে ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠতে যিনি জাদুর কাঠি ছুঁয়েছেন, তিনি বর্তমান পুলিশপ্রধান ড. বেনজীর আহমেদ। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর আড়মোড়া ভাঙতে থাকে রাজারবাগ হাসপাতাল। মাত্র ছয় সপ্তাহে পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়। করোনার পাশাপাশি জরুরি বিভাগে অন্যান্য সেবাও মিলছে এখানে।

পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও পরিবারের পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে কর্মরত ও জনপ্রতিনিধিরা হাসপাতালটিতে সেবা পাচ্ছেন।

যারা হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিয়েছেন, সবার মাঝেই মুগ্ধ বিস্ময়। এর পরিচ্ছন্ন, আরামদায়ক আর সুখকর পরিবেশ, আন্তরিকতাপূর্ণ সেবা আর সুষ্ঠু চিকিৎসায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন তারা। কেউ কেউ আবার এই হাসপাতালের সমৃদ্ধ জেগে ওঠার কারিগর পুলিশপ্রধানকে ‘ফিনিক্স পাখি’র সঙ্গে তুলনা করেছেন।

১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গত বছর পর্যন্ত কোনো নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র বা আইসিইউ ছিল না। বর্তমান পুলিশপ্রধানের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়েছে ১৫ বেডের আইসিইউ এবং ১৪ বেডের এসডিইউ। এখন এই হাসপাতালে ১৫০ জনের মতো চিকিৎসক রয়েছেন।

হাসপাতালটির দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, চা‌হিদার সঙ্গে তাল মি‌লি‌য়ে বেড়েছে চিকিৎসা ও সেবার মান। পুলিশপ্রধানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধান ও নির্দেশনায় করোনা আক্রান্তদের সুচিকিৎসায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীর খাদ্যের মানসহ সব ধরনের সেবার মান বাড়ছে।

করোনার বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে গত বছরের ৮ এপ্রিল দেশের ৩০তম আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পান ড. বেনজীর আহমেদ। ১৫ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেন তিনি। এর আগে তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ড. বেনজীর তার প্রতিটি দায়িত্ব পালনকালে নতুন ভাবনা ও উদ্যোগের মাধ্যমে বাহিনীর উন্নয়ন, সদস্যদের পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধি, জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধ রচনা করে দেশসেবায় ব্রতী হয়েছেন। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় মানুষের পাশে থেকে সেবা দেওয়া, জঙ্গি ও মাদক নির্মূলে প্রতিনিয়ত অভিযানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালাচ্ছে পুলিশ বাহিনী।

পুলিশ হাসপাতালে বাড়ানো হয় বেড

ভাইরাস থেকে সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে পুলিশপ্রধান চালু করেন ‘প্যান্ডেমিক পুলিশিং’। প্রণয়ন করেন আন্তর্জাতিক মানের এসওপি এবং ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রটোকল। করোনায় সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে একক বাহিনী হিসেবে পুলিশে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। মৃত্যুও বাড়তে থাকে হু হু করে। এই অবস্থায় ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে বাড়ানো হয় বেডসংখ্যা।

২৫০ শয্যার সাধারণ হাসপাতাল থেকে ৭৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল গড়ে তোলা হয় একে। এ ছাড়া বেসরকারি একটি হাসপাতাল ভাড়া নিয়ে পুলিশের সেবা দেওয়া হয়। ক্যানসার ইউনিট, ক্যাথল্যাব স্থাপনসহ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন আইজিপি।

করোনা আক্রান্ত সদস্যদের সশরীরে দেখতে বিশেষ টিম

করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের দেখভাল করতে ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনারের তত্ত্বাবধানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কয়েকটি টিম আছে। এসব টিমের সদস্যরা প্রতিদিন করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান। চিকিৎসাসেবাসহ সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ নেন। বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যথাসম্ভব সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।

রাজারবাগে সাধারণ মানুষের সেবা দেয়ার চেষ্টা

এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হাসপাতালটির নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেন পুলিশপ্রধান। ‘জরুরি বিভাগ ভবন’ নামে নতুন ভবনটিতে অত্যাধুনিক জরুরি ব্যবস্থাপনা, লাশ সংরক্ষণ, অর্থোপেডিক সার্জারি, মেডিসিন, আধুনিক ডেন্টাল চিকিৎসা, চোখ, নাক-কান-গলার সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি, কার্ডিওলজি-সিসিইউ, আইসিইউ, এইসডিইউ ছাড়াও রয়েছে ক্যান্টিন ও লাইব্রেরি।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘রাজারবাগ হাসপাতালে সাধারণ মানুষও চিকিৎসা নিতে পারবেন। হাসপাতালে ক্যানসার ছাড়া সব ধরনের রোগের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকছে। আমরা অন্যান্য উন্নত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সাথে এমওইউ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সুযোগ সাপেক্ষে সাধারণ মানুষের চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে। এখানে হার্টের রিং পরানোর ব্যবস্থা করা হবে। আগামী বছর এ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’

করোনা মোকাবেলায় গাইডলাইন তৈরি 

পুলিশপ্রধানের নির্দেশে করোনা মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশের অভিজ্ঞতা অনুসরণ করে বাংলাদেশ পুলিশের জন্য উপযোগী গাইড লাইন তৈরি করা হয়। এরপর কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা হয়, যা করোনা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ৭৫০ শয্যার ব্যবস্থা গড়ে রেখেছে। মাত্র তিন সপ্তাহে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়।

রাজারবাগে সবচেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন

পুলিশপ্রধানের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় পর্যাপ্ত পরিমাণ উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংযোজন করা হয়েছে। উন্নত ও মানসম্মত চিকিৎসা ও সেবায় হাসপাতালটিতে সুস্থতার হার দ্রুততার সঙ্গে বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়েছেন সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী।

পুলিশ হাসপাতালের প্রশংসায় চীন

চীনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং করোনাভাইরাস প্রতিরোধে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) ব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসা প্রটোকলের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

হাসপাতাল ও পুলিশপ্রধানের প্রশংসা করে ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির পোস্ট

গত ২৩ মার্চ করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি হন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে তিনি নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দূরদর্শিতার এক অনন্য নিদর্শন স্থাপন করলেন ড. বেনজীর আহমেদ। নিজ বাহিনীকে সম্মুখসারির যোদ্ধা বানিয়ে তিনি তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করলেন। গত বছরের মার্চের আগে রাজারবাগ হাসপাতাল আর আজকের রাজারবাগ হাসপাতালের পার্থক্য দেখে যে কেউ বুঝতে পারবেন। অল্প সময়ে কতটা আধুনিকায়ন সম্ভব। বলতে দ্বিধা নেই ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের কারণেই আজ সারা দেশের করোনা রোগীদের প্রথম পছন্দ রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল।’

ডিআইজি হাবিব আরও লেখেন, ‘একটু পেছনে ফিরে দেখি। বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ চাকরিজীবনের শুরু থেকেই একজন ব্যতিক্রমধর্মী কর্মকর্তা, ভিশনারি লিডার। বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা, নেতৃত্ব, পেশাদারিত্ব এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে গুণাবলির উৎকর্ষে তিনি অনুসরণীয়।’ এ সময় তিনি  ড. বেনজীর আহমেদকে ‘ফিনিক্স পাখির’ সঙ্গে তুলনা করেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যা বলছে

দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালটিতে কাজ করছেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শান্তু। ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, ‘কোভিড শুরুর দিকে আমরা তো বুঝিনি পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে। একের পর এক ঢেউ এসেছে। সেই অনুযায়ী সতকর্তা ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনের নিরিখে হাসপাতালে শয্যাসংখ্যা বেড়েছে। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি আইজিপি স্যারের নির্দেশনা, পরিকল্পনা ও স্বপ্নেরই প্রতিশ্রুতি।’

‘বাহিনীর সদস্যদের সুরক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও জনপ্রতিনিধিদের আমরা সেবা দিয়েছি।’

সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সেবার মান নিয়ে চীনসহ অনেক দেশ প্রশংসা করেছে। আমরা সরাসরি রোগীর কাছে গিয়েছি, কখনো বুঝতে দিইনি তিনি একা। আমরা যারা ডাক্তার নয়, তারা সরাসরি রোগীর কাছে গিয়ে তাদের ভরসার পাশাপাশি মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছি। এটা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ ছিল।’

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ সুপার বলেন, ‘যেহেতু মন্ত্রণালয় রাজারবাগ হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ঘোষণা করেছে, তাই এখানে এখন করোনা চিকিৎসা চলছে। অন্যান্য চিকিৎসা আমরা জরুরি বিভাগের মাধ্যমে দিচ্ছি। এ রোগীদের ভর্তি করানো হয় না, তবে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে নিয়মিত অবজারভেশনে রাখছি, প্রয়োজনে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করা হচ্ছে।’

কীভাবে পুলিশপ্রধান এসব বিষয় দেখভাল করছেন জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের প্রতিটি বিষয় আইজিপি স্যার দেখেন। যেমন- উন্নয়ন পরিকল্পনা, রোগীদের সেবার মান উন্নয়ন, খাদ্যের মান পরিকল্পনা, চিকিৎসক নিয়োগ, তাদের পুরস্কৃত করাসহ যত ধরনের প্রণোদনা- সকিছুই স্যার দেখভাল করেন। এই অত্যন্ত ডাইনামিক মানুষটির ব্যক্তিগত অনুপ্রেরণার ফলেই হাসপাতালের আজকের সম্প্রসারণ। তিনি শুধু খবর নিচ্ছেন না প্রত্যক্ষ তদারক করছেন। এ কারণে প্রতিনিয়ত সেবার মান বাড়ছে এই হাসপাতালের।’

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এসএস/মোআ)