বাংলাদেশে টিকা উৎপাদনে প্রস্তুত রাশিয়া ও চীন

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০২১, ২২:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

রাশিয়া ও চীন টিকা সরবরাহ করবে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে উৎপাদনেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন। এছাড়া ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হলেই তারা ঢাকায় করোনার টিকা পুনরায় রপ্তানি শুরুর আশ্বাস দিয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, উজবেকিস্তানে যোগাযোগ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয়, রুশ ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়েছে।

ড. মোমেন জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস. জয়শংকর বলেছেন, ‘আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেই আপনারা (বাংলাদেশ) টিকা পাবেন।’ 
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কখন দিল্লির কাছ থেকে ক্রয়কৃত অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনেকার ৩০ মিলিয়ন ডোজ টিকার বাকিটা পাবে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে ব্যাপারে কোনো সময়সীমা দেননি। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, জয়শংকর তাকে বলেছেন, ভারত কখনোই বলেনি, তারা বাংলাদেশকে আর টিকা দেবে না।

মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে, কোভ্যাক্স চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা পাচ্ছে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে ড. মোমেন বলেন, মস্কো বাংলাদেশকে তাদের করোনা টিকা স্পুটনিক সরবরাহ করা ছাড়াও বাংলাদেশে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে সম্মত হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়গুলো এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’ 

মন্ত্রী বলেন, যৌথভাবে উৎপাদনের আওতায় রাশিয়া বাংলাদেশকে টিকা উৎপাদনের প্রযুক্তি দেবে না। স্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো শুধু টিকা বোতলজাত করবে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে মোমেন বলেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশে টিকা সরবরাহ ও এদেশে যৌথভাবে করোনা টিকা উৎপাদনের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। 

বৈঠকে ওয়াং নিশ্চিত করে বলেছেন যে, অনুদান হিসেবে বাংলাদেশ সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে। চীন বাংলাদেশকে উপহার স্বরূপ যে ১১ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছিল এটা তার অতিরিক্ত।

ড. মোমেন বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকে আরও জানিয়েছেন, দুটি চীনা ভ্যাকসিন কোম্পানি সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনে প্রস্তুত।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা ও বিষয়টি চূড়ান্ত করতে খুব শিগগিরই চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা ঢাকায় আসবেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে কেনা ছাড়াও দেশবাসীর জন্য পর্যাপ্ত টিকা নিশ্চিত করার জন্য ঢাকা কোভ্যাক্সের আওতায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সূত্র থেকে আরও ভ্যাকসিন আনার একটি ভালো পথ তৈরি করে ফেলেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৫ ও ১৬ জুলাই তাসখন্দে অনুষ্ঠিত ‘সেন্ট্রাল অ্যান্ড সাউথ এশিয়া: রিজিওনাল কানেক্টিভিটি, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপারচুনিটি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান শেষে সোমবার সকালে দেশ ফিরেছেন। এদিন তিনি সাংবাদিকদের এই সফরের ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফ করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/জেবি)