ঈদ জামাতে করোনা থে‌কে মুক্তির বিশেষ প্রার্থনা

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০২১, ১৩:৩১ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০২১, ১৩:৫৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উর্ধ্বগতির মধ্যে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হচ্ছে। গত ঈদুল আজহার মতো এবারও মসজিদে মসজিদে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ঈদের জামাতে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জামায়াতে অংশ নেয়া মুসল্লিরা করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করেন।

করোনার কারণে ঢাকার কোথাও ঈদগাহে জামাত হয়নি। মসজিদের যথাযথ নির্দেশনা মেনে সকালে ঈদের জামাত হয়েছে। নামাজ আদায় শেষে দেশ, জাতি মুসলিম উম্মার শান্তি এবং করোনা থেকে মুক্তির প্রার্থনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় মুসল্লিরা দু'চোখের পানি ফেলে মহান স্রষ্টার কাছে দোয়া করেন।

সকাল সাতটায় জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহায় প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান।

জামাত শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা এবং করোনা থেকে মুক্তির বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। এ সময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় জাতীয় মসজিদ।

প্রথম জামাতে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান।

এরপর সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত, ৯টায় তৃতীয় জামাত, ১০টায় চতুর্থ জামাত এবং বেলা পৌনে ১১টা পঞ্চম ও শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য সকাল থেকেই জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা মসজিদে অবস্থান করেন। এরপর জামাত আদায় করেন। মাস্ক ছাড়া কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাতীয় মসজিদ এলাকা এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাগ নিয়ে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করতে দেখা যায়। করোনার কারণে কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে বলা হলেও তা মানেননি অনেকে।

বায়তুল মোকাররম ছাড়াও দেশের সব মসজিদে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে দোয়া করা হয়। এদিকে দেশের সব মসজিদেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/এমআর