কাপাসিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৭ পরিবার চরম দুর্ভোগে

মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
 | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০২১, ১৭:৩৩

ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরের এক কোণে ঘাপটি মেরে বসে থাকি কখন বৃষ্টি থামবে। বৃষ্টির জন্য কখনো কখনো সারারাত নির্ঘুম কাটিয়ে দিতে হয়। খাওয়া-দাওয়া ও গোসল করার জন্য যে টিউবওয়েল দিয়েছিল তা থেকে তেমন পানি আসে না। গোসল ও মাছ চাষের জন্য একটি পুকুর দেয়া হয়েছিল। সেই পুকুরে মাছের চাষ হলেও তাতে গোসল করার মত পরিবেশ নেই। দরজা না থাকায় বাথরুমে যাওয়ারও উপায় নেই।

কথাগুলো বলছিলেন কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের দেওনা গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী ষাটোর্ধ সূরুজ মিয়া। তার মতো এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী আরো অনেকেই জানান তাদের কষ্টের কথা।

ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাবেক সভাপতি হেকিম মিয়া ও বসবাসকারীরা জানান, ১৯৯৭ সালে ওই গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মাণ করে জমিহীন-বাড়িহীন ৪৭ পরিবারকে বসবাস করতে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন ঘরগুলো মেরামত না হওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বহুবার বলার পরও এখনো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তবুও শেষ আশ্রয়স্থল এ আশ্রয়ণেই থাকতে হচ্ছে। বর্তমানে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছোট-বড় প্রায় একশত পঞ্চাশ জন মানুষ বসবাস করছেন।

ভুক্তভোগীরা বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি, দিন খাই। সরকার আমাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এখানে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ঘরগুলোর উপরের টিনের চাল মরিচা ধরে বড় বড় ছিদ্র হয়ে আছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হলে ঘরে থাকা যায় না। বাথরুমগুলোর অবস্থা খুই খারাপ। ময়লা যাওয়ার তেমন ব্যবস্থা নেই। দুর্গন্ধে আমরা ঘরে থাকতে পারি না। এই আশ্রয়ণ প্রকল্পটি যখন নির্মাণ করা হয়, তখন আমাদের খাওয়ার পানি ও গোসলের জন্য আটটি টিউবওয়েল ও একটি পুকুর খনন করে দেয়া হয়েছিল। ওই পুকুরে বর্তমানে আমাদের সরকারিভাবে মাছের পোনা দিয়ে মাছ চাষ করানো হয়। আর আটটি টিউবওয়েলের মধ্যে পাঁচটি টিউবওয়েলই নষ্ট। বাকি তিনটি থেকেও ভালভাবে পানি আসে না। বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত খানের মাধ্যমে একটি সাবমার্সিবল দেয়া হয়েছে, তা থেকেই পানির ব্যবস্থা হচ্ছে। এখানে স্কুল না থাকার কারণে ছেলে-মেয়েরা লেখা-পড়া করতে সমস্যা হচ্ছে।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসমত আরা বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের সমস্যগুলি চিহ্নিত করে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠনো হয়েছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

(ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :