চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০২১, ১৯:২৩

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নিয়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। সকালে কোরবানির পশু জবাইয়ের পরপরই মৌসুমী ব্যবসায়ীরা একটি বড় গরুর চামড়া ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে কিনতে থাকেন। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজার আরো পড়ে যায়। গ্রাম থেকে চামড়া আমদানি হওয়ায় সন্ধ্যায় ব্যাপক দরপতন ঘটে।

উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্ধ্যায় ছাগলের চামড়ার দাম শুধুমাত্র ১০ টাকা ও গরুর চামড়ার দাম ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায় এসে ঠেকে। চামড়া কেনার পর পাইকাররা আরো কম দাম বলায় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা পড়েছেন ব্যাপক লোকসানের মুখে।

বুধবার উপজেলার তাড়াশ পৌর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, চাহিদা না থাকায় এবং চামড়ায় কাটা ও ফাটার অজুহাতে দাম দিচ্ছেন না পাইকাররা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে বাকবিতণ্ডা। বিক্রেতাদের অভিযোগ, এক লাখ টাকা মূল্যের গরুর চামড়ার দাম ৩০০ টাকাও উঠছে না।

মৌসুমী ব্যবসায়ী জহির উদ্দিন বলেন, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনেছি। কিন্তু পাইকাররা এসে সেই চামড়ার দাম কেনার চেয়ে অর্ধেকও বলছে না।

চামড়া ব্যবসায়ী সোহানুর রহমান, চামড়া কেনার পর লেবার, লবণ ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে আরো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ব্যয় করতে হয়। কিন্তু বাধাধরা দাম থাকায় অথবা দাম বেধে না দেওয়ায় চামড়া কিনে বিপদে পরেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

চামড়া ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিন জানান, কসাইদের চামড়া ভালো থাকে তাই সেগুলোর দামও বেশি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের করা চামড়ায় অসংখ্য কাটা থাকে। ফলে ওই চামড়া কোনো কাজে আসে না আর আমরা তা কিনতেও চাই না। কিন্তু নতুন ব্যবসায়ীরা না জেনেই আন্দাজে যে কোনো চামড়া কেনায় এ সমস্যা তৈরি হয়।

চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় স্থানীয় মাদরাসা ও এতিমখানাগুলো যে আয় করে থাকে, তাদেরও আয় কমে যাবে বলে জানান।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :