‘অপহৃত’ কিশোরীকে পতিতালয়ে বিক্রির হুমকি, প্রেমিক গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২১, ১৬:৩৬ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২১, ১৭:২৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেন তার কথিত প্রেমিক। মুক্তিপণ না পেলে কিশোরীকে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয়ার হুমকি দেন প্রেমিক দুর্জয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় কিশোরীও।

শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এআই‌জি মো. সো‌হেল রানা ঢাকা টাইমসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোহেল রানা জানান, অনলাইনে পরিচয়ের সূত্র ধরে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যায় এক কিশোরীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেন কথিত প্রেমিক। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ দাবি করে কথিত ওই প্রেমিক। মুক্তিপণ না দিলে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয়ার হুমকি দেন তিনি। পরে বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংকে বার্তা পাঠিয়ে সহযোগিতা চায় পরিবার।

অপহৃত মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বার্তা পেয়ে অনতিবিলম্বে বিষয়টি দেখার জন্য মুক্তাগাছা থানার (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয় সদর দপ্তর। মুক্তাগাছা থানার সদস্যরা প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাথমিক তদন্তে মেয়েটির বর্তমান অবস্থান জানতে পারেন রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার একটি এলাকায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং বিষয়টি জানান। পরে পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমানকে মুক্তাগাছা থানার সঙ্গে সমন্বয় করে অপহৃত মেয়েটিকে উদ্ধারের নির্দেশনা দেয়া হয়।

কিশোরীকে উদ্ধারে পাংশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান ও এসআই মো. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে দুটি টিমকে দায়িত্ব দেন ওসি। পরে মুক্তাগাছা ও পাংশা থানার সাইবার ক্রাইম ও গোয়েন্দা টিমসহ পুলিশের একাধিক দলের প্রচেষ্টায় অভিযান চালিয়ে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া গ্রাম থেকে কিশোরেীকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযানে অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত দুর্জয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার মেয়েটিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করেছেন। উদ্ধার অভিযানসহ অপারেশনাল সার্বিক বিষয়াদি তত্ত্বাবধান করেছেন রাজবাড়ি জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এমএম শাকিলুজ্জামান এবং ময়মন‌সিংহ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মোহা. আহমার উজ্জামান।

উদ্ধারের পর কিশোরীর কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কয়েক মাস আগে অনলাইনে তার সঙ্গে দুর্জয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে দুর্জয়ের সঙ্গে পালিয়ে যায় মেয়েটি। দুর্জয় মেয়েটিকে প্রথমে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে তার নানাবাড়িতে রেখে আসে মেয়েটিকে।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এআর/ইএস)