ইঞ্জিনের নৌকা করোনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে শাহজাদপুরের চরে

রানা আহমেদ, সিরাজগঞ্জ
 | প্রকাশিত : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৭:২১

করোনাভাইরাস রোধে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ অমান্য করে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলছে ইঞ্জিনচালিত নৌকা। উপজেলার মোনাকষা-বানতিয়ার-জামিরতা-ছোট চানতারা নৌরুটে প্রায় অর্ধশতাধিক নৌকায় প্রতিদিনই বহন করা হচ্ছে অতিরিক্ত যাত্রী। উপজেলার কৈজুরি ও সোনাতনী ইউনিয়নের চর এলাকার অন্তত ১৫ গ্রামের ৬৫ হাজার মানুষ পড়েছে করোনা ঝুঁকিতে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এইসব নৌকার যাত্রীর অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। গাদাগাদি করে গাঁ ঘেষে বসে যাতায়াত করছেন। ঘাট কর্তৃপক্ষও কিছুই বলছে না এ বিষয়ে।

কৈজুরি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান মল্লিক, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, কৈজুরি বাজারের আব্দুল খালেকসহ স্থানীয়রা জানান, কৈজুরি বাজারের ইলেকট্রিশিয়ান বাবুল হোসেন বাবু মোনাকষা ঘাটের মূল ইজারাদার। তার সাথে ১৮ জন ভাগিদার রয়েছেন। এদের কেউই প্রকৃতপক্ষে মাঝি না। এদের নিজস্ব কোনো নৌকা নাই। নৌকা প্রতি সপ্তাহে ২৫০০ টাকা ভাড়ায় এরুটে ৪/৫ টা নৌকা চালানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী এ ঘাট থেকে আধা ঘন্টা পরপর নৌকা ছাড়ার কথা থাকলেও ২ থেকে ৩ ঘন্টা পরপর নৌকা ছাড়া হয়। ফলে প্রতিটি নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করতে হয়। নৌকা স্বল্পতার কারণে যাত্রীরাও নিরুপায় হয়ে করোনা ঝুঁকি নিয়েই গাদাগাদি করে চলাচল করতে বাধ্য হয়।এ ছাড়াও নৌরুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ১৫ টাকা। অথচ যাত্রীদের গুনতে হয় ২ থেকে ৩ গুণ বেশি টাকা।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিবাদ করলে ঘাট ইজারাদারের ভাড়াটিয়া বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। ফলে ভয়ে কেউ কিছু বলে না।

তবে ইজারাদার বাবুল হোসেন বাবু বলেন, যাত্রীদের থেকে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে না। লকডাউন অমান্য করে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা না চাইলেও যাত্রীরা জোর করে উঠে পড়ে। তখন বাধ্য হয়ে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হয়।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো: শামসুজ্জোহা বলেন, আমি ঘাটের কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখে সে অনুযায়ী দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :