লকডাউনে যেসব সেবা পাওয়া যাবে বিচারিক আদালতে

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২১, ১৯:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
প্রতীকী ছবি

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এর মধ্যেই ঈদুল আজহার ছুটি শেষে আগামীকাল রবিবার শুরু হচ্ছে কর্মদিবস। লকডাউন হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই বিধিনিষেধ চলাকালে সীমিত আকারে চলবে দেশের বিচারিক আদালত। সেখানে বেশ কিছু সুবিধা পাবেন বিচারপ্রার্থীরা।

শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় জামিনসহ অতীব জরুরি বিষয়গুলো নিষ্পত্তির জন্য সীমিত আকারে বিচারিক আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

শুক্রবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালত/ট্রাইব্যুনালগুলোর কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রত্যেক জেলার জেলা ও দায়রা জজ দেওয়ানি ও ফৌজদারি এবং মহানগর দায়রা জজ ফৌজদারি জরুরি দরখাস্তগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী জেলা/মহানগরে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ সময় আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালনরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উপস্থাপন করা যাবে। দি নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ সহ যেসব আইনে মামলা/আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত আছে, সেসব আইনের অধীনে মামলা/আপিল শারীরিক উপস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে তামাদির মেয়াদ অক্ষুণ্ণ গণ্যে দায়ের করা যাবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অধস্তন আদালতে কর্মরত সব বিচারক এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থল ত্যাগ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থীদের আদালত প্রাঙ্গণে না আসার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/এআইএম/জেবি)