বিধিনিষেধেও মানুষ বেপরোয়া, সংক্রমণ বাড়বে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশ | ২৪ জুলাই ২০২১, ২০:৩৪ | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২১, ২০:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই ঢাকায় ফিরছে মানুষ। শনিবার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ছবিটি তোলা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। জেল-জরিমানা পর্যন্ত করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষ বেপরোয়া। ঈদের পর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই ঢাকায় ফিরছে। ঈদেও তোয়াক্কা করেনি স্বাস্থ্যবিধির। এজন্য দেশে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

শনিবার বিকালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমসিএ) আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি প্রতিরোধ, অক্সিজেন সংকট, হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করে বিপিএমসি’র সভাপতি এম এ মুবিন খান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদে গরুর হাটে মানুষের যাওয়া-আসা, দোকানপাটে যাওয়া-আসার ফলে নিশ্চয়ই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটা আমরা আগামীতে দেখতে পাব। এবং সরকার চেষ্টা করেছে, জরিমানা করেছে, জেলে ঢুকিয়েছে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে, তারপরও মানুষ মানেনি। তারা বেপরোয়াভাবে ঘুরে বেড়িয়েছে। মানুষের দেশে যাওয়া আসার মতো মুভমেন্টের কারণে সংক্রমণ কিছুটা বাড়বে, এটা আমরা আশঙ্কা করি। এখন যে গাড়ি চলাচলসহ সবকিছু বন্ধ তারপরও মানুষকে দেখি হেঁটে চলে আসছে, এটা একটা আশ্চর্যজনক বিষয়।’

১৮ বছর হলেই নেয়া যাবে টিকা

১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিককেই টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্বিঘ্ন রাখতে এবং অধিকাংশ নাগরিককে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে এখন থেকে ১৮ বছরের ওপরে দেশের সব নাগরিককেই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই সরকারের আইসিটি বিভাগের আওতাধীন জাতীয় সুরক্ষা অ্যাপে ১৮ বছরের ওপরে সব নাগরিক যেন রেজিস্ট্রেশন করতে পারে, সে বিষয়ে একটি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।’

এর আগে ১৯ জুলাই ৩০ বছর বা তার বেশি বয়সীরা করোনা টিকা নিতে নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। টিকা নেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ছিল ৩৫ বছর।

দেশে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। এর পরদিন করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। এর আগে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সরকারের হাতে এক কোটির উপরে ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসের মধ্যেই আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন সরকারের হাতে চলে আসবে। এভাবে চীন থেকে তিন কোটি, রাশিয়া থেকে সাত কোটি, জনসন অ্যান্ড জনসনের সাত কোটি, অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ভ্যাকসিনসহ আগামী বছরের শুরুর দিকের মধ্যেই সরকারের হাতে প্রায় ২১ কোটি ভ্যাকসিন চলে আসবে। আশা করা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমেই দেশের অন্তত ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে সরকার।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে কোভিডের তৃতীয় ধাপ মোকাবিলায় বিছানার সংখ্যা বৃদ্ধির অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি মুবিন খান স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অন্তত দুই হাজার নতুন কোভিড ডেডিকেটেড বিছানা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/বিইউ/জেবি)