ইনডেক্সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মার্জিন ঋণ নির্ধারণ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইর) প্রধান সূচক ডিএসই এক্স ৭০০০ পয়েন্টের উপর মার্জিন ঋণ নির্ধারণ করা হয়েছে। সাত হাজার পয়েন্টের নিচে ইনডেক্স থাকলে মার্জিন বাড়বে। আর সাত হাজারের কমে থাকলে মার্জিন কমবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত উল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড -১৯ মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করে কমিশনের নির্দেশনা নং বিএসইসি / নজরদারি / ২০২০-৯৭৫ / ১৩২ তারিখ ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ স্থগিত থাকবে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জের টিআরইসি হোল্ডাররা মার্জিন বিধি, ১৯৯৯ এর অধীন নিম্নলিখিত পদ্ধতিতে তাদের অনুমোদিত ক্লায়েন্টদের ক্রেডিট সুবিধার সীমাবদ্ধতা পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিয়মে কার্যকর হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ডিএসইএক্স সূচক যদি ৭০০০ পয়েন্টের নিচে থাকে, তাহলে মার্জিন ঋণের পরিমাণ হবে ১ টাকায় ৮০ পয়সা বা ১:০.৮০ বেসিসে। অর্থাৎ শতকরা ৮০ শতাংশ মার্জিন ঋণ পাবে বিনিয়োগকারীরা। আর যদি ডিএসইএক্স সূচক ৭০০১ থেকে উপরের দিকে অবস্থান করে, তাহলে মার্জিন ঋণের পরিমাণ হবে ১ টাকায় ৫০ পয়সা বা ১:০.৫০ বেসিসে। অর্থাৎ শতকরা ৫০ শতাংশ মার্জিন ঋণ পাবে বিনিয়োগকারীরা।
এর আগেও ডিএসইর সূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার স্তরে মার্জিন ঋণ দেয়ার নীতিমালা করেছিলো বিএসইসি। ঐ নীতিমালা অনুযায়ী, ডিএসইএক্স সূচক ৪ হাজারের নিচে থাকাকালে মার্চেন্ট ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ১:১ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে। অর্থাৎ গ্রাহকের নিজস্ব ১ টাকার বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ টাকা মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ৪০০১-৫০০০ মধ্যে থাকলে ১:০.৭৫ হারে বা গ্রাহকের ১ টাকা বিনিয়োগের বিপরীতে ৭৫ পয়সা মার্জিন ঋণ দেয়া যাবে।
ডিএসইর প্রধান সূচক ৫০০১-৬০০০ পয়েন্টের মধ্যে থাকলে মার্জিন ঋণ হবে ১:০.৫০। অর্থাৎ গ্রাহক ১ টাকা বিনিয়োগ করে ৫০ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন।
আর ডিএসইর প্রধান সূচক ৬০০০ পয়েন্টের ওপরে থাকলে ১:০.২৫ হারে মার্জিন ঋণ দিতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। অর্থাৎ একজন বিনিয়োগকারী ১ টাকা বিনিয়োগ করে ২৫ পয়সা মার্জিন ঋণ নিতে পারবেন।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসআই/কেআর)