কারণ ছাড়াই লাফিয়ে বাড়ছে ফু ওয়াং সিরামিকের শেয়ার দর

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০২১, ১৯:১০

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সিরামিক খাতের কোম্পানি ফু-ওয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের শেয়ার দর বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কিন্তু কোম্পানিটির কোনও ব্যবসায়ে পরিবরর্তন হয়নি। কোনও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে চলার পেছনে কোনও কারসাজি হচ্ছে প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।

বাজার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এক মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৮৬ শতাংশ বা ১১.২০ টাকা। এক মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ১৩.১০ টাকা। যা এক মাসে ১১.২০ টাকা বেড়ে অবস্থান করছে ২৪.৩০ টাকায়।

এমন অস্বাভাবিক শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে ডিএসই চিঠি দিয়েছে কোম্পানিটিকে। জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোনও সংবেধনশীল তথ্য তাদের কাছে নেই।

এবিষয়ে কোম্পানিটির সচিব আব্দুল হামিদ তালুকদার ঢাকা টাইমসকে বলেন, কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ার কোনও কারণ আমি এই মূহুর্তে বলতে পারছি না। তবে লকডাউনের কারণে আমাদের কোম্পানি এখন বন্ধ রয়েছে।

১৯৯৮ সালে লিস্টেড কোম্পানিটি মানছে না পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্দেশনা। বিএসইসির বেধে দেয়া সময়ের মধ্যে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতেও ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।

বর্তমানে কোম্পানিটির মালিকানায় পরিচালোনা পর্ষদের কাছে রয়েছে ৭.৩৩ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩৬.১৩ শতাংশ । বিদেশি বিনিয়োগকালীদের কাছে রয়েছে ০.৪০ শথাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৫৬.১৪ শতাংশ।

এদিকে কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করাকেই দায়ী করছে বিনিয়োগকারীরা। রফিক নামে এক বিনিয়োগকারী ঢাকা টাইমসকে বলেন, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারন করার উদ্দেশ্য বাজার থেকে শেয়ার ক্রয় করা শুরু করেছে। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ারের চাহিদা বাজারে বেড়ে গেছে। যার কারণে বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির মেয়ার ছাড়তে চাচ্ছে না। এতে করে বাজারে কোম্পানিটির শেয়ারের আরও বেশি চাহিদা বেড়ে গেছে যার কারণে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়ে চলেছে।

কোম্পানিটির ইতিহাসে মাত্র দুই বার নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে এক শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১.৪০ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে কোম্পানিটি নয় মাসে জুলাই-মার্চ পযন্ত শেয়ার প্রতি আয় করেছে ২৮ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ১১.৭০ টাকা। সবশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিলো ৪৭ পয়সা।

বর্তমানে কোম্পানিটির ৮৩ কোটি ৯৯ লাখ টাকা স্বল্প মেয়াদী ঋণ রয়েছে। দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ রয়েছে ২৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা। ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনী কোম্পানিটির পরিশেঅধিত মূলধন ১৩৬ কোটি ২৬ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৩ কোটি ৬২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি। বর্তমানে কোম্পানিটির ওআইসি ব্যতীত রিজার্ভ রয়েছে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এসআই/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

স্বর্ণের দাম কমল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :