নোয়াখালীতে মৃত্যুর চার মাস পর গৃহবধূর লাশ উত্তোলন

প্রকাশ | ২৫ জুলাই ২০২১, ২০:৩৯

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

আদালতে মামলার ভিত্তিতে মৃত্যুর তিন মাস ২১ দিন পর নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রাম থেকে মারজাহান বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার বাদী নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রহিমা বেগম। ওই মামলায় রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক, সৎ ছেলে সোহাগ, রাজু ও সৎ মেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামি করা হয়। আসামিদের মধ্যে সোহগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
রবিবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে আবার ওই গৃহবধূর লাশ দাফন করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এবং সুধারাম মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় মারজাহানের লাশ উত্তোলন করা হয়।  
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩ এপ্রিল দুপুরে সৎ ছেলে সোহাগের স্ত্রী মারজাহানকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে যান রহিমা বেগম। রাত ২টার দিকে রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক তাকে মোবাইলে জানান মারজাহান বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। পরদিন ভোরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। আসার পর রহিমা জানতে পারেন সোহাগের পরকীয়ার প্রেমের প্রতিবাদ করায় রাতে মারজাহানের সাথে আসামিদের ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে চাইলে খালেকসহ পরিবারের লোকজন রহিমাকে ঘরে আটকে রাখে। প্রায় দুই মাস ঘরে আটক থাকার পর গত ১৬ জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নোয়াখালী আমলি আদালতে চারজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন তিনি।
নিহত মারজাহানের গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। হত্যার আগেও আসামিরা একাধিকবার মারজাহানকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
নির্বাহী হাকিম তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আবার দাফন করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এলএ)