টঙ্গীতে ব্যবসায়ী অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৫

নগর প্রতিবেদক, গাজীপুর
 | প্রকাশিত : ২৫ জুলাই ২০২১, ২১:৪৬

গাজীপুরের টঙ্গীতে ফ্ল্যাট লিখে না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকার একটি রেস্টুরেন্ট থেকে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণের মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অপহৃত ব্যবসায়ী হানিফ আলী (৩৬) দত্তপাড়া হাসান লেন এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, দত্তপাড়া হাসান লেন এলাকার কামরুল হাসান, একই এলাকার মেহেদী হাসান শাহিন, টঙ্গীর এরশাদনগর ৩নং ব্লকের শরিফ রানা বাবু, এরশাদনগর ৮নং ব্লকের মাহফুজ আহমেদ, কুড়িগ্রাম জেলার রউমারি থানার কোমরভাঙ্গি গ্রামের আতাউর রহমান। তাদের মধ্যে শরিফ রানা বাবু পুলিশের চাকরিচ্যুত সদস্য এবং আতাউর রহমান চাকরিচ্যুত সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তা।

পুলিশ জানায়, প্রায় সাত বছর আগে হানিফ ও কামরুল দুই বন্ধু মিলে টঙ্গীর দত্তপাড়া হাসান লেন এলাকায় আড়াই কাঠা জমি কিনেন। পরে সেই জমিতে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণ করে পাশাপাশি ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে বাস করতেন তারা। ভবনের বাকি ফ্ল্যাটগুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করে ভাড়া তোলেন দুই বন্ধু। কয়েক মাস আগে ফ্ল্যাটের ভাড়া তোলা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরে বেশ বাড়িটি হানিফ আলীর কাছ থেকে কামরুল হাসান জোরপূর্বক লিখে নিতে চেয়েও ব্যর্থ হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকবার সালিশ হয়।

ভুক্তভোগী হানিফ আলী বলেন, কয়েক মাস আগে টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাত্তার মোল্লা বিষয়টি নিয়ে সালিশ করেন। ওই সালিশে মাত্র ৭৩ লাখ টাকায় আমার মালিকানায় থাকা জায়গাসহ পাঁচ তলা ভবনটির ৫টি ফ্ল্যাট কামরুলের কাছে বিক্রির সিদ্ধান্ত দেয় সাত্তার মোল্লা। তাদের সিদ্ধান্তে প্রথমে আমি রাজি হলেও পরবর্তীতে তাদের ভয়ে রাজি হই। সালিশি সিদ্ধান্ত মতে তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু কামরুল বিভিন্ন সময়ে টাকা পরিশোধ করা ছাড়াই বাড়িটি রেজিস্ট্রি করে নিতে চায় এবং কালক্ষেপণ করে। পরবর্তীতে আমি বাড়িটি বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত জানাই। এর জের ধরে শনিবার রাত ৮টার দিকে কামরুলসহ কয়েকজন আমাকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয়। পরে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে দত্তপাড়া চানকির টেক এলাকায় মারধর করে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করতে বলে। এর কয়েক ঘন্টা পর সেখান থেকে আবার দত্তপাড়া এলাকার ক্যাফে সুলতান নামে একটি রেস্টুরেন্টে নিয়ে আসে। এরই এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমার স্ত্রী পুলিশকে জানালে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে এবং আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে টঙ্গী থানা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সাত্তার মোল্লা বলেন, আমি কারও পক্ষ নিয়ে বিচার করিনি। আমরা যেটা করেছি, সঠিক করেছি। স্থানীয় মুরব্বিদের নিয়ে সালিশে হানিফ আলীর অংশটুকু বিক্রির জন্য ৬৮ লাখ টাকা নির্ধারণ করে তিন মাসের সময় দেই। পরে হানিফের স্ত্রীর অনুরোধে আরও পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ লাখ টাকা করা হয়। কিন্তু বাড়িটি রেজিস্ট্রি করার সময় হানিফ তালবাবাহানা শুরু করে। হানিফ আলী এখন সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাসুদের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এদের মধ্যে মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুলাই/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :