ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া’র অণুকাব্য ( ১০ম কিস্তি)
১. সংযোগ
ভাবাবেগ যদি অতোটা গভীর না-ও হয়,
প্রকাশটা যদি হয়ে যায় খুব শাণিত,
তাও পেতে পারে পাঠকপ্রিয়তা জেনো
সে প্রকাশ যদি পাঠককে করে প্রাণিত।
ক্ষতি নেই যদি সুদূর আকাশে না উড়ে ভাবের ঘুড়ি,
ভাবের চেয়েও পাঠকের সাথে সংযুক্তিই জরুরি।
২. জীবনের নিকাশ
জীবনের সাথে এখনো অনেক হিসাব নিকাশ বাকি,
চাওয়া ও পাওয়ার সব ছক এখন একান্তে বসে আঁকি।
মারী-মড়কের অনাচারে পড়ে নিকাশে লেগেছে জট,
যোগের খাতেতে বিয়োগের অংক; হিসাবে ওলোট-পালট।
ক্ষতিগুলো আর হয়তো হবে না পরিণত কোনো লাভে,
নিকাশ শেষের আগেই জীবন উপসংহারে যাবে।
৩. ভাব আর রূপ
ভাব যার তার উপরই প্রকাশের পড়ে সব দায়,
ভাব যদি রূপ না পায়, সেই ভাব বোঝার কী উপায়!
অনুমান আন্দাজে যে যা-ই করুক-না স্থির,
ভাব যার সেই জানে ভাবাবেগ কতোটা গভীর।
ভাব যদি চাপা থাকে ভাবুকের বুকের খণিতে,
অনুরাগী কে হবে আর সে ভাবের মোহিনী মণিতে?
ভাব যদি বোধ থেকে না-ই হয় স্বরূপে প্রকাশ,
ভাবের গর্ভেই হয় সে ভাবের অকাল বিনাশ।
৪. এই আসা-যাওয়া
আমাকে তুমি আসতে বলেছো; এসেছি,
যেতে বললে; যাবো,
মাঝে যতক্ষণ ক্ষান্ত না হতে বলো,
অথৈ সাগরে ততোক্ষণ সাঁতরাবো-
এই আসা-যাওয়ার পথের ভুলের ক্ষমা
নিশ্চয় আমি তোমার কাছেই পাবো।
৫.
জীবনকে নিয়ে যতোই ভাববে, সব ভাবনাই নিষ্ফল,
নিয়তির ছকে নিত্য গড়ায় জীবন সিন্ধুজল।
তোমার ভাবনা কেবল মনের ভাবনাতে হয় হারা,
সময়ের রথে চির চলমান জীবনের গতিধারা।