পদ্মা সেতুর যেসব কাজ বাকি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১১:৫৮ | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২১, ১০:৫৬

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে আর বেশি দেরি নেই। বছর পার হলেই চালু হবে পদ্মা সেতু। ফেরি কিংবা লঞ্চে পদ্মা পার হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে রেহাই মিলবে। সেই সঙ্গে ১৬টি জেলার সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব কমবে। অর্থনীতির চাকাও হবে সচল।

পদ্মা সেতুতে এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। উল্লেখ করার মতো কাজটি হচ্ছে ১১ ও ১২ নম্বর স্প্যানে। ওই দুইটি স্প্যানে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১১ নম্বর স্প্যানের অর্ধেক জায়গা জুড়ে স্ল্যাব বসেছে। বাকি আছে ১২ নম্বর স্প্যান। প্রকৌশলীরা আশা করছেন আগামী মাসের মধ্যে শেষ হবে সেতুতে রোডওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ।

ইতোমধ্যে দ্বিতল সেতুর নিচের অংশে রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে এখন ওয়াকওয়ে এবং গ্যাস লাইন বসানোর কাজ চলছে। অন্যদিকে সেতুর উপরের যেখান দিয়ে গাড়ি চলবে সেই সড়কে প্যারাপেট ওয়াল বসানোর কাজ চলছে ত্বরিত গতিতে। সপ্তাহ খানেক আগে সেতুর মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ঢালাই কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই ভায়াডাক্ট দিয়েই মাওয়া প্রান্তে গাড়ি উঠবে-নামবে। অন্যদিকে শরীয়তপুর অংশের ভায়াডাক্ট নির্মাণের কাজ শেষের পথে।

পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৪১ নম্বর স্প্যান থেকে ৩৭ নম্বর স্প্যান পর্যন্ত রোডওয়ে স্ল্যাব, প্যারাপেট ওয়াল এবং রোড ডিভাইডার বসানো হয়েছে। এই সড়কটুকুতে বাতি ছাড়া প্রায় সব কাজই শেষ।

১৪ জুলাই সেতুর ৪০ নম্বর স্প্যানের উপরের সড়কে পিচ ঢালাইয়ের কাজ করা হয়। এর আগে এই স্প্যানের উপরের সড়কে ১০ মিটার প্রস্থ এবং ৬০ মিটার দৈর্ঘ্যের ওয়াটার প্রুফ মেমব্রেন বিছানো হয়েছিল। যেটি পানি নিরোধক একটি প্রলেপ। তার উপরের পিচ ঢালাই দেয়া হয়েছে।

পিচ ঢালাইয়ের কাজ করার আগে ৪০ নম্বর স্প্যানের উপর কমলা রঙের মেমব্রেন বিছানো হয়। মেমব্রেনের পুরুত্ব ৩ মিলিমিটার। এর উপরে ২ মিলিমিটারের বিটুমিনের স্তর দেয়া হচ্ছে। তার উপরে দেয়া হয় পিচ ঢালাই।

পদ্মা সেতুতে সেটাই প্রথম পিচ ঢালাইয়ের কাজ ছিল।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ। সেতুর মূল আকৃতি দোতলা।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।

দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার কথা রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এজেড/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

৫০ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন

চার বিভাগে নতুন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার

শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ঈদের আগেই, ছুটি সরকারি ছুটির চেয়ে কম নয়

সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সংবিধান শক্ত অবস্থানে রয়েছে: স্পিকার

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :