যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিপজ্জনক নীতি’ পরিবর্তনের আহ্বান চীনের
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘অচলাবস্থার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করেছে চীন। সোমবার চীনের তিয়ানজিন শহরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। এই আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে রয়েছেন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ওয়েন্ডি শেরম্যান। চীনের পক্ষে রয়েছেন ভাইস ফরেন মিনিস্টার শি ফেং। এই বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য করা হয়। চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার সূত্র ধরে আল জাজিরা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৈঠকে শি ফেং বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনকে অত্যন্ত বিপথগামী মানসিকতা ও বিপজ্জনক নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।’
অন্যদিকে ওয়েন্ডি শেরম্যান বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ক অচল অবস্থার মধ্যে রয়েছে এবং গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।’
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন জো বাইডেন। তারপর থেকে ওয়েন্ডি শেরম্যানের চেয়ে উচ্চ পর্যায়ের কোনো কর্মকর্তা চীনে ভ্রমণ করেননি। চীন সফরে যাওয়ার আগে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়া সফর করে এসেছেন শেরম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যকার সম্পর্ক অবনতি হয়েছিল। এখনো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ রয়েছে। যার মধ্যে মানবাধিকার, হংকং, জিনজিয়াং ও প্রযুক্তির মতো ইস্যুগুলো রয়েছে।
হংকং থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক আদ্রিয়ান ব্রাউন বলেছেন, ‘ভালো খবর হচ্ছে দুই পক্ষ আলোচনার টেবিলে বসেছে। কিন্তু বিবাদপূর্ণ সম্পর্ককে অস্বীকার করা যাবে না। সম্পর্ককে আরো ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যায় কিনা শেরম্যান সেই চেষ্টা করতে পারেন। কয়েক মাস পরে জি-২০ সম্মেলন হবে রোমে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আলোচনার টেবিলে বসতে পারে। হয়তো ওই বৈঠকে পথ ঠিক করতেই এই বৈঠক!’
যুক্তরাষ্ট্রের সিনিয়র কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে এই আলোচনা নয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের চ্যানেল খোলা রাখা।
ওয়েন্ডি শেরম্যান চীনে পৌঁছানোর আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছিলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র ‘উপরের দিকে’ থাকবে এটি চীন মেনে নেবে না।
(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/এসইউএল)