শ্রমিক সংকটে ট্যানারি পল্লীতে পচছে চামড়া

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২১, ১৩:০১ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ১৪:১০

আহমাদ সোহান, সাভার

মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শুক্রবার থেকে সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনের প্রভাব পড়েছে সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে। পুরো ট্যানারি এলাকা ঘুরে কোথাও চোখে পড়েনি শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা। ঈদের পরে দুই দিন স্বল্প শ্রমিক দিয়ে কোনো মতে কাজ চালালেও শুক্রবারের পর থেকে শ্রমিকরা আসতে পারেননি ট্যানারি পল্লীতে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের বেশিরভাগ এখনও হাজারীবাগে থাকেন। নিজস্ব যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকায় হাজারীবাগ থেকে তারা সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে কাজে যোগ দিতে আসতে পারেনি।

রবিবার সরেজমিনে সাভার চামড়া শিল্প নগরী ঘুরে দেখা যায়, প্রায় প্রতিটি ট্যানারির মূল ফটক বন্ধ রয়েছে। হাতে গোনা কয়েকটি ট্যানারির মূল ফটক খোলা থাকলেও সেখানে ছিল না শ্রমিকদের কর্মব্যস্ততা।

শ্রমিক সংকটের বিষয়ে ট্যানারি শ্রমিক মো. মফিজ বলেন, করোনা এবং লকডাউনের কারণে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। ঢাকা থেকে শ্রমিক না আসায় অনেক চামড়ায় লবণ লাগানো সম্ভব হয়নি। আমি হাজারীবাগ থেকে ত্রিশ টাকার ভাড়া দেড়শ টাকা দিয়ে সাভারে এসেছি। এখানে যারা কাজ করে সবাই স্বল্প আয়ের লোক, তাদের পক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কাজে আসা সম্ভব নয়। লোকবলের অভাবে প্রায় প্রতিটি ট্যানারির বিপুল সংখ্যক চামড়া নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

ট্যানারিটির কাঁচা চামড়ার দায়িত্বে থাকা কালাম মুন্সী বলেন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার এখনও পুরোপুরি কার্যকর না হওয়ায় ইউরোপিয়ান বায়াররা আমাদের কাছ থেকে চামড়া ক্রয় করছে না।

মেসার্স গোল্ডেন লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবসায়িক অংশীদার জাফর চৌধুরী বলেন, গত তিনদিন ধরে বৃষ্টির কারণে চামড়া দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি চামড়ার জন্য ক্ষতিকর, এটা এসিডের মতো কাজ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/পিএল)