চলনবিলে বাদাই জালে মাছ নিধন চলছে

প্রকাশ | ২৬ জুলাই ২০২১, ২১:২০

নাটোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলনবিলে অবাধে পোনা মাছ নিধন হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় এক শ্রেণির লোভী জেলে নিষিদ্ধ বাদাই, কারেন্ট জাল ও বানা-সোতির বাঁধ দিয়ে প্রকাশ্যে মাছ শিকার করছেন। আবার কেউ কেই শখের বসে কারেন্ট জালে মাছ ধরে বাহাবা নিচ্ছেন। এতে চলন বিল মাছশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পরিবেবিদরা বলছেন, নিষিদ্ধ জালে মাছের সাথে কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক ও জলজ কীটপতঙ্গও নিধন হচ্ছে। এতে বিলের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে।
সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, নাটোরের সিংড়া উপজেলার খরমকুড়ি, রাখালগাছা, জোড়মল্লিকা, তেলিগ্রাম, শেরকোল, সাতপুকুরিয়া, ডাহিয়া ও আত্রাই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এক শ্রেণির অসাধু জেলে সকাল-সন্ধ্যা নিষিদ্ধ বাদাই ও কারেন্ট জাল দিয়ে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ নিধন করে স্থানীয় বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রয় করছেন। কিন্তু সরকারিভাবে এসব অবৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরা নিষেধ থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই।
চৌগ্রাম ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য আব্দুল আলীম বলেন, আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। পেট চালাতে গেলে একটু-আটটু তো মাছ ধরতেই হয়। তবে এভাবে বানার বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করা ঠিক নয় বলে স্বীকার করেন তিনি।
আর স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাবেদ আলী বলেন, পানি কমে যাওয়ায় সেখানে কোন জাল দেয়া নেই। তবে সোতির বেড়া ও পাশে বানা রয়েছে। যারা এটা দিয়েছে কেউ তার আপনজন নয়। আর তিনি এই অবৈধ জিনিসকে কখনও সমর্থন করেন না।
বামিহাল অনার্স কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক ও পরিবেশকর্মী ড. জাকিয়া পারভীন বলেন, এভাবে নির্বিকারে মাছ নিধনের ফলে দেশীয় ৩৯ প্রজাতির মাছ আজ বিলুপ্তির পথে। মানুষের মাঝে সচেতনতাবোধ জাগ্রত না হলে চলনবিলকে রক্ষা করা খুবই কঠিন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন বলেন, চলনবিলে অভিযান পরিচালনার পরপরই সেখানে আবার নতুন করে মাছ শিকারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সকলের সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার। তাছাড়া জনবল সংকট তো রয়েছে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রকিবুল হাসান বলেন, চলনবিলে এভাবে কেউ মাছ শিকার করে থাকলে তা দ্রুত অপসারণ করা হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/এলএ)