হাসপাতালের ওয়ার্ড বয়কে পিটিয়ে ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা আটক

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০২১, ২৩:১৫

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিট অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় মো. মনির হোসেনের কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে মারধরের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক আকতারুল করিম রুবেল ওরফে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজাকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ সেশনের বাংলা বিভাগ ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। মার খাওয়ার পর শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মো. মনির হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৬ জুলাই) সকাল নয়টায় মনির হোসেনের কাছে আকতারুল করিম রুবেলসহ আরও দুই তিনজন পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মনিরকে কাঠ ও রড দিয়ে পেটান তারা। এতে মনিরের হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বেশ কিছু অংশ গুরুতর জখম হয়। পরে মনিরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আকতারুল করিম রুবেলকে আটক করতে সক্ষম হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে আকতারুল করিম রুবেলকে শাহবাগ থানা পুলিশকে সোপর্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘এই অভিযোগটি আমরা শাহবাগ থানা সূত্রে জানতে পেরেছি। সে (আকতারুল করিম রুবেল) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিয়মিত মাদক সেবন ও বিক্রি করে বলে আমাদের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ আছে। কেউ অন্যায় করলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলেও তাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমি মনে করি। পাশাপাশি তার আসলে ছাত্রত্ব আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’

মামলার বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, আকতারুল করিম রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে শাহবাগ থানায় হাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মনির হোসেন নামে একজন চাঁদা দাবি ও হামলা করার অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেছেন। আমরা আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম ও বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্রে জানা যায়, আকতারুল করিম রুবেলের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মাদক, চাঁদা দাবি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। মাদক সেবন ও বিক্রির সঙ্গে তার সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে বলে জানা যায়। জিয়া হলের আরেক শিক্ষার্থী ও তার বন্ধু ইশতিয়াক আহমেদ ইমনসহ ৭/৮ জন নিয়মিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক সেবন করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের রাজা বলে পরিচয় দেন এবং অনেকের কাছেই এই নামে পরিচিত।

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে কী ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন , ‘অপরাধী যে-ই হোক না কেন, আইনানুযায়ী তার যথাযথ শাস্তি হওয়া উচিত। ছাত্রলীগে কোনো অপরাধীর জায়গা নেই। বিশেষ করে যারা মাদক, ছিনতাই এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবো না। আমরা তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। পাশাপাশি তার উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।’

(ঢাকাটাইমস/২৬জুলাই/আরএল/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :