সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ২৮ বছরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

আজিজুল হক আজিজ
| আপডেট : ২৭ জুলাই ২০২১, ০৯:৩৪ | প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২১, ০৯:১৪

২৭ জুলাই গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রাম ও সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে ২৮ বছরে পদার্পণ করছে প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে ১৯৯৪ সালে ২৭ জুলাই ‘বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ নামে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে দায়িত্ব দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

আশি এবং নব্বই দশকের একঝাঁক সাবেক ছাত্র নেতাদের নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রিয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম শুরু করেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ পুনর্গঠনের কাজ। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই বর্ণাঢ্য সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হয়ে সারা দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ছড়িয়ে দিয়ে সংগঠনকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেন।

২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান এবং ২৯ জুলাই আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্ধিত সভায় সকল নেতাকর্মীকে কান্নায় ভাসিয়ে এক সঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকার যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে সংগঠনের সহসভাপতি অ্যাড. মোল্লা মো. আবু কাউছারকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে অদ্যাবধি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের পরামর্শ ও নির্দেশনায় পরিচালিত হয়ে আসছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

ছিয়ানব্বইয়ের অসহযোগ আন্দোলন, ২০০১ সালের ১ অক্টোবর নির্যাতন পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডবের প্রতিবাদে দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত সকল আন্দোলন-সংগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ছিল অগ্রভাগে। কারাগারে নির্মম নির্যাতনের শিকার জননেতা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগের প্রতিটি লড়াই, সংগ্রাম, আন্দোলন ও প্রতিটি সভা, সমাবেশ সর্বোপরি প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তার প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ছিলেন সর্বত্র।

নেত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট বর্বোরোচিত গ্রেনেড হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা কুদ্দুছ পাটোয়ারী নিহত হন। আমাদের শ্রদ্ধেয় নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথসহ অসংখ্য নেতাকর্মী গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের ভয়াবহ আঘাতে গুরুতর আহত হয়।

২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তৎকালীন অবৈধ অগণতান্ত্রিক সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার মাননীয় নেত্রীকে গ্রেপ্তার করলে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সে দিনই ভোর বেলায় নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণে নেত্রীর মুক্তি চেয়ে মিছিল করে মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকার পরও নেত্রীর মুক্তির জন্য পোস্টার ছাপিয়ে লিফলেট বিতরণ ও গণ-স্বাক্ষর সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আওয়ামী লীগের সেই সময়ের বর্ধিত সভায় ' No Dialogue, No Election without Sheikh Hasina ' স্লোগানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ প্রকম্পিত করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে সারা দেশে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

প্রতিষ্ঠা দিবসের এই মাহেদ্রক্ষণে জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন। সেই সঙ্গে প্রিয় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর পক্ষ থেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

লেখক: দপ্তর সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :