নারী পাচারকারী সেই আজম খানের জামিন স্থগিত

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৮ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১, ১৫:২৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

হাজারেরও বেশি তরুণীকে দুবাইয়ে পাচার ও তাদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের প্রধান আজম খানকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এর আগে গত ১৯ জুলাই তাকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এ জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আজম খানকে সহযোগীসহ গ্রেপ্তারের পর গত বছরের ১২ জুলাই সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম প্রধান ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, দুবাইয়ে মানবপাচার চক্রের গডফাদার আজমের বিলাসবহুল হোটেলের সন্ধান পেয়েছি। আজম খান ফরচুন পার্ল হোটেল অ্যান্ড ড্যান্স ক্লাব, হোটেল রয়েল ফরচুন, হোটেল ফরচুন গ্রান্ড ও হোটেল সিটি টাওয়ারের অন্যতম মালিক।

এর মধ্যে তিনটি ফোর স্টার, একটি থ্রি স্টার মানের হোটেল। এই আজম অর্ধশত দালালের মাধ্যমে ২০-২২ বছরের মেয়েদের উচ্চ বেতনে কাজ দেওয়ার কথা বলে প্রলুব্ধ করতেন। দালালরা মেয়েদের প্রলুব্ধ করে নির্ধারিত দু’টি বিদেশি এয়ারলাইন্স এজেন্সির মাধ্যমে দুবাই পাঠাত। দুবাই যাওয়ার পরে তাদের প্রথমে ছোটখাটো কাজ দেওয়া হতো। এরপর জোরপূর্বক ড্যান্স ক্লাবে নাচতে বাধ্য করা হতো। আটকে রাখা হতো, খাবার দেওয়া হতো না, শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। বৈদ্যুতিক শক পর্যন্ত দেওয়া হতো এবং দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হতো।

অগ্রিম বেতন হিসেবে ২০-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করতেন আজম। কিন্তু দুবাই ড্যান্সবারে কিংবা হোটেলে নেওয়ার পর তাদের আর বেতন দেয়া হতো না।

এমনসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুবাই সরকার বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানিয়ে চক্রের গডফাদার আজমের পাসপোর্ট জব্দ করে দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে ফেরার পর আজম আত্মগোপনে যান। সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালানোরও চেষ্টা করেন। তবে তার আগেই দুই সহযোগীসহ সিআইডির চৌকস দল তাকে আটক করে। আজমের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যাসহ ১৫টি মামলার তথ্য পেয়েছে সিআইডি।

(ঢাকাটাইমস/২৭ জুলাই/এআইএম/ইএস)