ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে বন্ধ হয়নি অবৈধভাবে যাত্রী পারাপার

প্রকাশ | ২৭ জুলাই ২০২১, ১৫:৩১ | আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২১, ১৫:৪৭

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটইমস

কঠোর লকডাউনেও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে মাছ ধরার ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিডবোটে যাত্রী পারাপার করছে একটি প্রভাবশালী মহল। একদিকে যেমন সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য হচ্ছে অন্যদিকে উত্তাল মেঘনায় যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৩ জুলাই থেকে সারাদেশে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। এসময় বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়াসহ সকল ধরনের গণপরিবহন ও নৌযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ভোলাতেও চলে এই কঠোর বিধিনিষেধ। কিন্তু ভোলা থেকে মূল ভূখণ্ডে যেতে একমাত্র মাধ্যম হলো নৌযান। যার ফলে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে প্রতিদিন কর্মস্থলে যেতে হাজার হাজার লোক ভিড় করছেন। কিন্তু প্রশাসন তাদেরকে ফেরিতে উঠতে না দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ সুযোগে ঘাটে থাকা একটি দালাল চক্র ঘাটে আসা লোকদের নদী পারাপার করতে ইলিশা ফেরিঘাটের পার্শ্ববর্তী শাহাজল বেপারীর ঘাট ও বাজাপুরের জোরখাল এলাকায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে স্পিডবোট ও ছোট ছোট মাছ ধরার ট্রলার করে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর পৌঁছে দেয়। এসময় ভাড়াও আদায় হচ্ছে কয়েকগুণ বেশি।

এদিকে ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটকে ডেঞ্জার জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এই আইনকে উপেক্ষা করেই এ রুটে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। এতে নৌ-দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে।

ভোলার ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, আমরা সোমবার রাতে যাত্রী পারাপারের সময় মাছ ধরার ট্রলারের দুই মাঝিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করেছি।

ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি।  এখন থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এই দুইটি ঘাটে অবস্থান করবেন। কেউ অবৈধ উপায়ে যাত্রী পারাপার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/পিএল)