৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান
মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুধু বেড়েই চলছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্যাপক হারে ভাইরাসটির প্রতিষেধক টিকা প্রয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হচ্ছে টিকাদান কর্মসূচি। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েই নেওয়া যাবে এই টিকা।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণে করণীয় ঠিক করতে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্তই চলবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন যাতে আরও কঠোর হয় সে বিষয়ে মাঠে কাজ করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবাইকে মাস্ক পরতেই হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘লকডাউনের মাধ্যমে করোনা রোধ করা যাবে না। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। এজন্য টিকাদানে জোর দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্র খোলা হবে। যারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে পারবেন তাদের টিকা দেওয়া হবে। টিকা আরও হাতে এলে ওয়ার্ড পর্যায়েও টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ৫০ ঊর্ধ্ব বয়স যাদের তাদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এজন্য তাদের দ্রুত ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদানকেন্দ্রে এনআইডি নিয়ে এসে টিকা নিতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন থাকবে না, তাদেরও বিশেষ ব্যবস্থায় নিবন্ধন করে টিকা দেওয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/আরকে)