কৃষক জাকিরের সফলতায় মালচিং পদ্ধতিতে আগ্রহ বাড়ছে অন্যদেরও

এস কে রঞ্জন, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
 | প্রকাশিত : ২৭ জুলাই ২০২১, ১৭:৩৪

এ বছর নতুনভাবে মিনি গ্রীন হাউস ও মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা। ওই গ্রামেরই একজন সফল কৃষক জাকির হোসেন গাজী। তার রয়েছে সবজি চাষের উপর নানা স্বপ্ন। তিনি সমাজের বেকারত্ব ও যুবসমাজকে কৃষির আওতায় অর্ন্তভূক্ত করতে চান। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উন্নতশীল বীজ সংগ্রহ করে এলাকায় রোপণ করে সফলতার ছোঁয়া পেয়েছেন তিনি। তার সফলতা দেখে কুমিরমারা গ্রামের বেশ কিছু কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদন করেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবজি ক্ষেতে আধুনিক পদ্ধতিতে লাউ, শসা, করলা, বোম্বে মরিচ, পেঁপে, কাঁচা মরিচ, লাফা, মিষ্টি কুমড়া, বেগুন, টমেটোসহ নানা প্রজাতির সবজি চাষ করেছেন জাকির হোসেন। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে বাহারি রঙের তরমুজ চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। স্থানীয় বিভিন্ন কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে বাহারী রঙের তরমুজ মিনি গ্রিন হাঊস ও মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

কৃষক জাকির হোসেন গাজী জানান, আমি একসময় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতাম। গত পাঁচ বছর ধরে কৃষি কাজ করছি। এবছর আমার ছয় বিঘা জমিতে বিভিন্ন সবজি চাষ করতে খরচ হয় পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। কুমিরমারা গ্রামে আমি প্রথম আধুনিক কৃষির সৃষ্টি করি এবং স্থানীয় কৃষকদের আধুনিকভাবে কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দিই।

তবে ওমর ফারুক নামে আরেক কৃষক বলেন, কলাপাড়া উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে আমাদের সবজি বিক্রি হয়। বাজারজাত করার জন্য যাতায়াত ব্যাবস্থা ভালো না থাকার কারণে সবজির ন্যায্য মূল্য পাইনা। সরকারিভাবে আমরা আর্থিক সহযোগিতা পেলে ব্যাপক আকারে সবজি চাষ করতে পারতাম।

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, শুধু কুমিরমারা নয় কলাপাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে আমরা কৃষকদের আধুনিক ট্রেনিং দিয়ে সবজি চাষে উদ্বুদ্ধ করব।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :