জ্বরে আক্রান্তদের করোনা ও ডেঙ্গু পরীক্ষার পরামর্শ
বর্তমানে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরেও জ্বর থাকে। তাই জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের করোনা পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু পরীক্ষারও পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে রোগীর পরবর্তী চিকিৎসাসেবা দিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, বিএসএমএমইউয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য মেডিসিন বিভাগে ২৬ শয্যার এবং শিশুদের জন্য শিশু বিভাগে ১২ শয্যার ডেঙ্গু কর্নার চালু করা হয়েছে।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে বিএসএমএমইউর উপাচার্য জরুরি ভিত্তিতে মশা নিধন কার্যক্রম আরো জোরদার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার, এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করাসহ অনান্য উদ্যোগ বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য বলেন, করোনা প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও ভ্যাকসিন বা টিকা নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নাই। করোনা ভাইরাসের টিকা নিলে রোগীর জটিলতা অনেক কম হয় এবং রোগী দ্রুত আরোগ্য লাভ করে। টিকা নিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এই ভাইরাসের কারণে রোগীর মারা যাওয়ার বিষয়টি একেবারেই কম। গ্রামেগঞ্জে যারা এখনও টিকা নেয়নি বিশেষ করে বয়স্করা তারা যেন জরুরি ভিত্তিতে করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ প্রশাসনিক মিটিং, আইকিউসির উদ্যোগে আয়োজিত কর্মশালা, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ১ ও ২ সম্পর্কিত সভা এবং ‘ইসলাম ও রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ’ বিষয়ক সভায় অংশ নেন। এছাড়াও তিনি হাসপাতাল রাউন্ড দেন।
এদিকে বিএসএমএমইউর ডক্টরস ডরমিটরিতে গতকাল ২৬ জুলাই এক হাজার ৪৩০ জনসহ মোট ছয় হাজার ৬৪০ জন প্রথম ডোজের মডার্নার টিকা নিয়েছেন। গত ১৪ জুলাই পর্যন্ত ফাইজারের নয় হাজার ৫৬৪ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। গতকাল ২৬ জুলাই অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার ও মডার্নার মোট ৬৪ হাজার ১৯৪ জন প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন। গত ৭ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজের অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন ৪৮ হাজার ২১৬ জন এবং গত ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ৮৪ জন।
বেতার ভবনের পিসিআর ল্যাবে গতকাল সোমবার ২৬ জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৬৭ হাজার ছয় শত ৭২ জনের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বেতার ভবনের ফিভার ক্লিনিকে এক লাখ আট হাজার ৯২ জন রোগী সেবা নিয়েছেন।
এদিকে কেবিন ব্লকে করোনা সেন্টারে আজ ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১১ হাজার ১৪৮ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন। ভর্তি হয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন চার হাজার ৯৩৮ জন। বর্তমানে করোনা সেন্টারে ভর্তি আছেন ২১৫ জন। আইসিইউতে ভর্তি আছেন ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুলাই/এএ/জেবি)