অভিমান ভুলে শাওন-শীলা কি আবার এক হলেন?

প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২১, ১১:৫০ | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১, ১১:৫৮

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রয়াত কথাসাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের বেশ কিছু নাটকে একসঙ্গে অভিনয় করে দর্শকের নজর কেড়েছেন মেহের আফরোজ শাওন ও শীলা আহমেদ। প্রথম জন লেখকের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং দ্বিতীয় জন মেয়ে। একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে একসময় তাদের মধ্যে বেশ সখ্যতা ছিল। শোনা যায়, শাওন আর শীলা নাকি ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন।

কিন্তু এই কথাটি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন শাওন। বলেছেন, শিলা তার বন্ধু নন। বরং হুমায়ূন আহমেদকে বিয়ে করার শীলা আহমেদের সঙ্গে তার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। এরপর থেকে তাদের কোনো নাটক বা অনুষ্ঠানে একসঙ্গে কখনোই দেখা যায়নি। বলতে গেলে, একে অন্যের চোখের বালি হয়ে গিয়েছিলেন।

তবে শাওন আর শীলা নাকি আবার এক হয়েছেন। অনুমতি ছাড়া প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন দুই অভিনয়শিল্পী। মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে গ্রামীণফোনের কাছে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণও দাবি করেছেন তারা। পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিসও।

প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের দ্বিতীয় স্ত্রী শাওন, মেয়ে শীলা আহমেদ, নোভা আহমেদ, বিপাশা আহমেদ, ছেলে নূহাশ আহমেদ এবং ভাই জাফর ইকবালের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিজবাহ মঙ্গলবার এ নোটিস পাঠান। আইনজীবী জানান, ডাকযোগে গ্রামীণফোনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

ওই নোটিস থেকে জানা গেছে, মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন ২০২০ সালের জুলাই মাসে ‘কেমন আছেন তারা’ শীর্ষক কয়েক পর্বের একটি ধারাবাহিক প্রোমোশনাল অনুষ্ঠান প্রচার করে। অনুষ্ঠানটির টাইটেল ছিল ‘গ্রামীণফোন নিবেদিত কেমন আছেন তারা’।

অনুষ্ঠানটি গ্রামীণফোনের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রচার করা হয় এবং তা ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে। ওই অনুষ্ঠানে হুমায়ূন আহমেদের রচিত চারটি জনপ্রিয় চরিত্র বাকের ভাই (কোথাও কেউ নেই), এলাচি বেগম (অয়োময়), সোবহান সাহেব (বহুব্রীহি) এবং তৈয়ব আলীকে (উড়ে যায় বক পক্ষী) ব্যবহার করা হয়।

এ জন্য গ্রামীণফোন হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্য বা উত্তরাধিকারীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি বা লাইসেন্স নেয়নি। ফলে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। তাই গ্রামীণফোনকে নোটিস পাঠিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবির পাশাপাশি প্রমোশনাল ভিডিওগুলো তিন দিনের মধ্যে সরানোর জন্য বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে মেধাস্বত্ব আইন লঙ্ঘনের জন্য ৩ কোটি ১৫ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ১৫ দিনের মধ্যে হুমায়ূন আহমেদের পরিবারের সদস্যদের প্রদান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মিজবাহ।

ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এএইচ