সাতক্ষীরায় চামড়ার ক্রেতা নেই, লোকসানে ব্যবসায়ীরা

এম বেলাল হোসাইন, সাতক্ষীরা
| আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৭ | প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২১, ১৪:২৭

সাতক্ষীরায় চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। ঈদের ১ সপ্তাহ পার হতে চললেও কেনা চামড়ার একটিও বিক্রি করতে পারেননি তারা। এছাড়া অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে মসজিদ ও মাদ্রাসায় সংরক্ষিত দানকৃত চামড়া । এদিকে ভারতে চামড়া পাচার রোধে কড়া নজরদারি রেখেছে বিজিবি।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১৭ হাজার গরু কোরবানি হয়েছে। আর ছাগল কোরবানি হয়েছে ৩৪ হাজার। গরুর চামড়ার সরকারি রেট ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা বর্গফুট হিসেবে। আর ছাগলের চামড়ার রেট ধরা হয়েছে ২২ টাকা বর্গফুট দরে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, চামড়া কেনায় সরকারি রেট মানা হয়নি কোথাও। তিন থেকে সর্বোচ্চ ৬০০ টাকায় গরুর চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশ ছাগলের চামড়া বিক্রি না হওয়ায় সেগুলো মসজিদ ও মাদ্রাসায় দান করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদ ও কওমী মাদ্রাসার তহবিলে গরুর চামড়া দান করা হয়েছে। এগুলো অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

দক্ষিণ কাটিয়ার মাদরাসাতুস সাহাবাহ নামক কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ইউসুফ জামিল বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় এলাকার লোকেরা ২১৩টি গরু ও ২২০টি ছাগলের চামড়া দান করেছিলেন। গরুর চামড়াগুলো গড়পড়তায় ৪৭৫ টাকা করে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছিল। ছাগলের চামড়া প্রতি পিচ মাত্র দশ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।

পলাশপোল এলাকার ব্যবসায়ী আবুল হাশেম বলেন, আমি ২০ বছর ধরে চামড়ার ব্যবসা করি। গতবার কিছু চামড়া কিনেছিলাম। হাতে-পায়ে ধরে যশোরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছিলাম। কিন্তু টাকা পাইনি। এবার তাই লোকসানের ভয়ে চামড়া কিনিনি।

বড়বাজার এলাকার ব্যবসায়ী জামালউদ্দীন বলেন, আমি এবার দেড় হাজারের মত চামড়া কিনেছি। কিন্তু ঈদের ৫দিন পার হলেও একটি চামড়া বেচতে পারিনি। ঢাকা থেকে এখন পর্যন্ত কেউ যোগাযোগ করিনি। তিনি আরও বলেন, গড়পড়তায় এক একটি চামড়া ৫০০ টাকায় কিনেছি। মাসব্যাপী লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করতে ২ শতাধিক টাকা খরচ হবে। এরপরেও বিক্রি করতে পারব কিনা জানি না।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সহিদুল ইসলাম জানান, জেলায় এ বছর ৫০ হাজার পশু কোরবানি হয়েছে। যার মধ্যে ১৭ হাজার বিভিন্ন সাইজের গরু। বাকিটা ছাগল। মাইকিং করে জনগণকে চামড়ার দাম জানানো হয়েছে প্রাণিসম্পদ অফিসের পক্ষ থেকে। তবে বর্গফুট হিসেবে না কিনে মোট হিসেবে কিনেছেন ক্রেতারা বলে শুনেছি।

এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে চামড়া পাচারের বিষয়ে কড়া নজরদারি রেখেছে বিজিবি। ভারতে চামড়ার দাম ভাল পাওয়া যায় বলে সেখানে পাঠাতে আগ্রহী সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে ৩৮ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ বলেন, কোরবানির ঈদে ভারতে চামড়া পাচারের একটা সম্ভাবনা থাকে। সেই কারণে আমরা সীমান্তে কড়া নজরদারি রেখেছি।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :