রাজবাড়ীতে আবারও নদীর তীর রক্ষা বাঁধে ধস
প্রকাশ | ২৮ জুলাই ২০২১, ১৬:৩৭
রাজবাড়ীতে পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (প্রথম পর্যায় সংশোধিত) প্রকল্পের কাজ শেষ না হতেই পৃথক দুটি পিচিং স্থানের প্রায় ১০০ মিটার ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বাঁধটি। আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোদার বাজারের এনজিএল ইটভাটার পূর্ব পাশে ২০ মিটার ও পশ্চিম পাশে ৮০ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে যায়। ধসে পড়া জায়গা থেকে বাঁধের দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ মিটারের মতো।
এর আগে ১৬ জুলাই শুক্রবার গোদার বাজার চরসিলিমপুর অংশের পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষা (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের কাজ শেষের দুই মাস না যেতেই প্রায় ৩০ মিটার অংশের পিচিং ব্লক ধসে যায়। পরে ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জুলাইতে শুরু হওয়া (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পের রাজবাড়ী পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজের আড়াই কিলোমিটার অংশের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এক হাজার ৫২৭ মিটারে ৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়, যা এখনও চলমান। এ অবস্থায় ১০০ মিটার ধসে যায়।
এদিকে ভাঙনরোধে ২০১৮ সালের জুন মাসে রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ডান তীর প্রতিরক্ষার কাজ (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাদ্দে তিন ও মিজানপুরে দেড় কিলোমিটারসহ সাড়ে চার কিলোমিটার অংশে ৩৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ শুরু হয়, যা এখনও চলমান। কিন্তু সেই কাজেরও চলমান অবস্থায় গোদার বাজারের চর সিলিমপুর এলাকায় ৩০ মিটার ধসে যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্লক দিয়ে বাঁধের কাজ বছরের পর বছর স্থায়ী হয়। কিন্তু এবার শুরু থেকেই কাজ ভালো হয়নি। নতুন মাটির ওপর সোলিং করে ব্লক বসিয়েছে। আর নিচে যে গাইড ওয়ালের সাপোর্টিং দেয়া প্রয়োজন ছিল, সেটিও দেয়নি। যে কারণে ব্লক বসানোর দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ধসে পড়ল। এখন যেভাবে ভাঙছে তাতে দ্রুত রোধ না করতে পারলে পুরো বাঁধ ভেঙে শহরে পানি ঢুকবে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ‘ভাঙনের খবর পেয়ে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত স্থান পরিদর্শন করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে জিও টিউব ফেলার কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।’
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘এ কাজের জন্য ২০১৬-১৭ সালে ডিজাইন করা হয়। তখন নদীর যে গতিপথ বা অবস্থা ছিল, এখন সেটা নাই। হয়তো সেই কারণে ব্লকে ধস দেখা দিয়েছে। আর কাজের গুণগত মান নিয়ে কোনো সন্দেহ নাই।’
(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এসএ/কেএম)