সেন্ট্রাল ফার্মার ব্যবসা মন্দা, দীর্ঘদিন মুনাফায় ক্ষতি, তবুও কেন শেয়ার দর উর্ধ্বমূখী?

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জুলাই ২০২১, ২০:২৯

মন্দা ব্যবসা নিয়ে সবশেষ অর্থবছরে ব্যপক লোকসানে থাকা পুঁজিবাজারের তালিকাভূক্ত ওষুধ এবং রসায়ন খাতের প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের শেয়ার দর বৃদ্ধি নিয়ে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মনে।

২০২০-২১ অর্থবছরেও তেমন কোন মুনাফার দেখা নেই কোম্পানিটির। তবুও উর্ধ্বমুখী লোকসানে থাকা ওষুধ এবং রসায়ন খাতের এই কোম্পানিটির শেয়ার দর। যে কারণে কোনো কারসাজি হচ্ছে কি-না প্রশ্ন বিনিয়োগকারীদের।

কোম্পানিটির শেয়ার দর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত তিন মাসে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৫.১০ টাকা ৪৯ শতাংশ। তিন মাস আগে কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিলো ১০.৫০ টাকা। আর বর্তমানে তা অবস্থান করছে ১৬ টাকায়। সবশেষ মঙ্গলবারও কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে সাড়ে ছয় শতাংশ বা এক টাকা। কোম্পানিটির শেয়ারের এমন উধ্বমুখী প্রবণতা কোন কারসাজি নয় তো?

জানতে চাইলে কোম্পানিটির সচিব তাজুল ইসলাম বলেন, সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার দর বৃদ্ধির পেছনে কোন নির্দিষ্ট কারণ নেই। কোম্পানিটির ব্যবসায়েও কোন পরিবর্তন আসেনি। কেন কোম্পানিটির শেয়ার দর বাড়ছে তা যারা শেয়ার নিয়ে কাজ করে তারাই জানে। কোম্পানি এ সম্পর্কে কিছু জানে না। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের তুলোনায় ২০২০-২১ অর্থবছরে আমাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। তবে অব কাঠামোগত কোন পরিবর্তন আসেনি কোম্পানিটির ব্যবসায়।

কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায় , ২০১৯-২০ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছিলো ৯.২৪ টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থবছরের নয় মাসের প্রতিবেদনে দেখা যায় মুনাফায় ফিরেছে কোম্পানিটি। নয় মাসে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা। আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য হয়েছে ৬.৬৬ টাকা।

কোম্পানিটির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণ জানতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে ঢাকা টাইমস। বিনিয়োগকারীরা জানান, বিএসইসি কোম্পানিটর পরিচালকদের ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারনের যে শর্ত বেধে দিয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালকগণ ইত্যেমধ্যে তা পালনের জন্য বাজার থেকে শেয়ার কেনা শুরু করেছে। যার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের চাহিদা বাজারে বেড়ে গেছে। আর যে কোম্পানির শেয়ারের চাহিদা বাজারে বেড়ে যায় সে কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি পায়। এতে করে সেন্ট্রাল ফার্মাসিটিক্যালসের শেয়ার দর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কারণ কোম্পানিটির পরিচালকঘন এখনও ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে পারেনি। আর ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হলে বাজার থেকে শেয়ার ক্রয় করতে হবে। যার ফলেবিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির শেয়ার ধরে রাখার কারণে কোম্পানিটির শেয়ারের চাহিদা বেড়ে চলেছে।

বিনিয়োগকারীরা আরও বলেন, এছাড়াও কোম্পানিটি পূর্বের তুলোনায় ব্যবসায়ও মুনাফা করতে শুরু করেছে। যার ফলে এই শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা স্বল্পমেয়াদি ঋণ রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ রয়েছে ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকা। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনী কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারসংখ্যা ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি। বর্তমানে কোম্পানিটির ওআইসি ব্যতীত রিজার্ভ ঋনাত্মক ৪০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের কাছে বর্তমানে ২৫.৮৯ শতাংশ শেযার রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ১৪.০১ শতাংশ। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৬০.১০ শতাংশ শেয়ার।

(ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/এসআই/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :