নাক ও গলার কোষের প্রতিরোধশক্তি কমলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৪:৩৬

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে করে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। নাক ও গলায় কেমন প্রভাব ফেলছে করোনাভাইরাস, তা দেখে বোঝা যায় সংক্রমণের তীব্রতা।

সম্প্রতি করোনা রোগীদের নিয়মিত দেখে, এমনই ধারণা তৈরি হয়েছে গবেষকদের একাংশের।

মানবদেহের নাক, মুখ ও চোখকে বলা হয় জীবাণুর প্রবেশদ্বার। করোনা ভাইরাসও আমাদের দেহে নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে প্রবেশ করে। বিভিন্ন কণিকার মাধ্যমে নাসারন্ধ্রে প্রবেশের পর খুব দ্রুতই এ ভাইরাস মানুষের গলায় প্রবেশ করে। এরপর করোনাভাইরাসের বহিরাবরণে আমিষের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং তার জেনেটিক গঠন পরিবর্তন করে মানব কোষে প্রবেশের উপযুক্ত হয়।

করোনাভাইরাস প্রবেশের পর করোনা ভাইরাস মানব কোষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং নিজের বংশ বৃদ্ধি করে। কারও আবার তা ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসে। কারও ক্ষেত্রে সংক্রমণের প্রভাব বেশি পড়ে, কারও আবার কম। কেন এমন হয়, তা এখনও স্পষ্ট ভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।

সম্প্রতি ‘সেল’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এমনই কিছু প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে। কোন ধরনের কোষে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রমণ করে এবং শ্বাসযন্ত্রে কী ভাবে তা প্রভাব ফেলে, তা দেখার চেষ্টা করেন গবেষকরা। সেখানেই তারা লক্ষ্য করেছেন, নাক ও গলার কোষে প্রতিরোধশক্তি কম থাকলে দ্রুত ছড়ায় এই ভাইরাস।

বস্টন চিল্ড্রেন্স হাসপাতাল এবং মিসিসিপ্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার যৌথ ভাবে এই গবেষণা করে। হাল্কা থেকে তীব্র সংক্রমণ, বিভিন্ন ধরনের রোগীদের পরীক্ষা করেন গবেষকেরা। হোসে অর্ডোভাস মন্তানেস নামে এক গবেষক বলেন, ‘অনেকে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে বোঝার চেষ্টা করেন, কেন কেউ বেশি অসুস্থ হন। কিন্তু রক্ত পরীক্ষার দ্বারা বোধ হয় এই বিষয়টি বোঝা সম্ভব নয়।’

তার বক্তব্য, একই ভাইরাল লোড থাকলেও অসুস্থতার মাত্রা আলাদা হতে পারে। প্রথমেই নাক-গলার কোষ যদি প্রতিরোধ করতে শুরু করে, তবে সেই রোগীর ক্ষেত্রে অসুখের তীব্রতা কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

গবেষকদের বক্তব্য, ভাইরাসের প্রবেশপথের কোষে প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। কীভাবে তা করা যায়, তা জানতে পারলে সংক্রমণের তীব্রতা কমানো সহজ হবে। করোনা আক্রান্তদের ৮০ ভাগই অল্পতেই সেরে ওঠেন। তবে ২০ ভাগ আবার মারাত্মক আকার ধারণ করে। মূলত যারা আগে থেকেই ফুসফুসজনিত সমস্যাসহ বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন, তাদের জন্য এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :