আমি বীরপুরুষ নই, তবে চন্ডাল

শাহজাদ হোসেন মাসুম
 | প্রকাশিত : ২৯ জুলাই ২০২১, ১৫:০১

অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে নিরুৎসাহিত করেছেন। সারা দেশে অসংখ্য শিক্ষিত-অশিক্ষিত মানুষ টিকার পক্ষে-বিপক্ষে। তাদের নানা রকম ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ আছে। সারা পৃথিবীতেই অসংখ্য চিকিৎসকও এদের সাথে শামিল আছেন। ওনারা ওনাদের মতো প্রোপাগান্ডা চালিয়েছেন। কিন্তু সারা পৃথিবীতে কোথাও টিকা দেওয়া বা নেওয়া থামেনি। বাংলাদেশেও থামবে না। এই দেশের মানুষ তালের পাগল। প্রথম প্রথম টিকা নিতে নিরুৎসাহী লোকজন এখন পাগলের মতো লাইন দিয়ে টিকা নিচ্ছে। যাকে দিয়ে পারে জ্যাক লাগায়ে ডেট আগানোর চেষ্টা করছে।

এইটা নিয়ে আপনাদের টেনশনের কারণ নেই। এইটা কিটো না। করোনা। বরং কীভাবে গণটিকাদান শুরু করা যায় সেই বিষয়ে পরামর্শ বিতরণ করতে পারেন।

যেই জায়গাটায় আপনাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার ছিল সেইটা হলো কুমিল্লা। ননকোভিড হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীকে কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে নিতে বললে তাকে বেদম প্রহার করা হয়। ঠিক পকেটমারকে স্যাডিস্ট বাসযাত্রীরা যেভাবে পিটায় সেভাবে। একজন ফ্লাইং কিক মারছে, দুইজন আবার এক লাঠি দিয়ে ভাগাভাগি করে সাটাচ্ছে। সম্ভবত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালেও আর জায়গা নেই। যদিও চিকিৎসক পিটাতে কোনো কারণ লাগে না, এসবের কোনো বিচার সাধারণত হয় না এবং এরা আসলে একরকম পকেটমারই, কাজেই তাদের পেটানোটা আসলে দেশের মানুষের অধিকারই বলা যায়।

অসভ্যদের দল একটা মাস্ক পরলো না, কোনো সামাজিক দূরত্ব মানলো না আর এখন কেন হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরতে হবে, কেন সব হাসপাতালে কোভিড রোগী নেওয়া যাবে না এই জন্য ডাক্তার পিটাও! সব ডাক্তার কিন্তু ডরপোক হয় না। খুব সাবধান। আমরা মানবতার সোল এজেন্সি নিয়েছি, কাজেই আপনারা মাঝে মাঝে আমাদের পেটাতেই পারেন এইসব আমরা সবাই বিশ্বাস করি না। কোনো না কোনো জায়গায় এই রকম কাজের একটা তাৎক্ষণিক বিচার আপনারা পাবেন। যদি সেখানে আমার মতো কেউ উপস্থিত থাকে। আমি বীরপুরুষ নই, তবে আমি চন্ডাল।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল

ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফেসবুক কর্নার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :