আসুন টিকাদানে উৎসাহিত করি

প্রকাশ | ২৯ জুলাই ২০২১, ১৬:১৬

সাঈদ চৌধুরী

মৃত্যু! কোভিডে, সড়ক ‍দুর্ঘটনায়, খুন, বার্ধক্যজনিত আরও অনেক কারণে! অনেকের সাথে সাথে আমাদেরও মন ভেঙে যায়। কিন্তু মন যদি এভাবে ভাঙে তবে কতদিন বেঁচে থাকা যাবে? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমছে, হাইপারটেনশন বাড়ছে, অস্থিরতায় ঘুমও হচ্ছে না। সর্বোপরি একটি মানুষ শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এ সমস্ত খবর দেখে নিজেকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কল্পনা করছে।

হা-হুতাস করলেও এরাই কি নিয়ম মানছে? পাশের বাড়ির মৃত্যুর খবর দিয়ে, মৃত্যু যন্ত্রণার খবর দিয়ে পোস্ট দিতে যারা ভুল করছেন না তারা কি আশপাশের মানুষকে সচেতন করতে পারছেন বা করছেন? এখন সময়টি খুব খারাপ যাচ্ছে। মানুষ যেভাবে ভীত হচ্ছে তাতে করে সামনের দিনগুলোতে নিজেদের জয় করাই কঠিন হবে।

একটু ভাবুন করোনায় বেশি মানুষ মরছে নাকি অন্য কোনোভাবে বেশি মানুষ মরছে? তারপর আরও খেয়াল করুন কারা করোনায় বেশি মারা যাচ্ছে। হ্যাঁ আমাদের ধর্মেও স্পষ্টভাবে বলা আছে জন্ম এবং মৃত্যু নির্ধারক মহান আল্লাহই। আমরা অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, তবে যেটা পারি সেটা সাবধানতা! পৃথিবীতে আগেও মহামারি এসেছে, তখনও মানুষ মরেছে কিন্তু একেবারে ধ্বংস হয়ে যায়নি মানুষ!

এখন যা চলছে এই ঢেউয়ে সাবধানতা অবলম্বন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এ্যামিবা পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট জীব! সে যদি কোনো বিপদ দেখে দেহের চারদিকে একটা আবরণ তৈরি করে নিজেকে গুটিয়ে রাখে। রক্ষা করার জন্য তারও একটি অস্ত্র আছে! কোনো প্রাণী বিপদ দেখলে সেখান থেকে রক্ষা পাবার জন্য প্রথমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে পরে আস্তে আস্তে সেখান থেকে সরে পড়ার পাঁয়তারা করে।

আমরা তো মানুষ। আমাদের নিজস্ব শক্তি দিয়েছেন মহান আল্লাহ, আমাদের বুদ্ধি আছে, আমরা চেষ্টা করতে পারি। বিকল্প সব চিন্তা করেই আমাদের এগুতে হবে এবং আমাদেরকে সিদ্ধান্তে পৌঁছুতে হবে আমরা কি করব। যারা আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন তাদের মৃত্যু আমাদের মনোকষ্টের কারণ হয়ে থাকবে বহুদিন। তবে আমাদের সাহস রাখতে হবে। মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।

ভয় পেয়ে গেলে এমনিতেই আপনি হেরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে গেলেন। একটু ভাবুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে পোস্টটি আপনি দিচ্ছেন তা কি সচেতনতার বদলে মানুষকে ভীতিকর অবস্থায় ফেলে দিচ্ছে কি না! এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং মানুষকে ভালোবাসাই বড় কর্তব্য।

আসুন অযথা ভয়ভীতি না পেয়ে আমরা আস্থা রাখি সৃষ্টিকর্তার ওপর এবং মানুষকে বোঝাই কি করলে আমরা আগের অবস্থায় ফিরতে পারব, টিকাদানে উৎসাহিত করি এবং কেউ রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেই। নির্ভরতা দিলে অসুস্থ মানুষও সুস্থ হয়ে ওঠে এবং আনন্দে বাঁচে।

লেখক: সদস্য, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও রসায়নবিদ

 

ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এসকেএস